সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমে বিশ্ব মানচিত্রে প্রবলভাবে উপস্থিতি জাহির করছে চিন! মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে লালফৌজ। বেজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বাণিজ্য সংঘাতের পারদ চড়ছে লাগাতার। এবার পরমাণু অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। আগামী ৬ বছরের মধ্যে প্রায় হাজার খানেক পরমাণু বোমা বানিয়ে ফেলবে চিন। এমনই উদ্বেগের খবর শোনাল পেন্টাগন।
চিনের অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা সহজে পাওয়া যায় না। তবে দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট দেখে লালফৌজের গতিবিধির কিছুটা আভাস পাওয়া যায়। কয়েকদিন আগেই প্রতিরক্ষা বাজেটে ৩৩০ থেকে ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করে বেজিং। কিন্তু আমেরিকার দাবি, খাতায়-কলমে বেজিং যাই বলুক, সামরিক খাতে আসল খরচ অন্তত ৪০ শতাংশ বেশি। যা দিয়ে অস্ত্রভাণ্ডার সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পেন্টাগনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চিনের হাতে চলে আসবে হাজার খানেক আণবিক হাতিয়ার।
তবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একেবারে প্রস্তুত। চিনকে শায়েস্তা করার জন্যই তিনি বিদেশ সচিব হিসাবে ম্যাক্রো রুবিও ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে মাইক ওয়াল্টজকে মনোনীত করেছেন। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে চিনা পণ্য আমদানিতে ২৫০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। সেসময় প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্পই। পরবর্তীতে জো বাইডেন আমেরিকার মসনদে বসার পরও এই শুল্কের পরিমাণ কমাননি। এবছর নির্বাচনের আগেও ট্রাম্প হুঙ্কার দিয়েছিলেন যে, ফের ক্ষমতায় এলে চিনা পণ্যের উপর শুল্ক আরও বাড়াবেন। যা নিয়ে দুদেশের মধ্যে ফাটল আরও চওড়া হয়। বিশ্লেষকদের মতে, পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের গতি বাড়িয়ে আমেরিকাকেই বার্তা দিতে চাইছে চিন। কিন্তু তাদের যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত ট্রাম্পও।