রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। গত তিনদিনে প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনই এখন মাথাব্যথার কারণ প্রায় সকলের। এই পরিস্থিতিতে বর্ষশেষের রাতে হুল্লোড়ে মাতেন অনেকেই। করোনা আবহে জমায়েত রুখতে রাজ্য সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা উচিত ছিল বলেই দাবি কারও কারও। বছরের প্রথম দিনে যদিও এ ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত নন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, শুধু নিয়মকানুন আরোপ করে কোনও লাভ হবে না। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
শনিবার নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “ওমিক্রনই এখন সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ। বছরের শুরুতেই আমি প্রার্থনা করি এই ভয় থেকে যেন মুক্ত হতে পারি। মহামারি থেকে মুক্ত হোক পৃথিবী। কাল যেভাবে রাস্তাঘাটে লোকে বেরিয়েছে, গোটা রাত ধরে আনন্দ করেছেন। কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। মাস্ক পরেননি কেউ। যেমন দুর্গাপুজোর সময় বেড়েছিল। এই সময় তাই করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। হাতের বাইরে যাতে পরিস্থিতি বেরিয়ে না যায় নাগরিককে সতর্ক হতে হবে।” কার্যত রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “সরকারের পক্ষে সব কিছু সম্ভব নয়। যদি আমরা বিধিনিষেধ না মানি তাহলে সত্যি বিপদ।”
[আরও পড়ুন: সিরিজের পর এবার সিনেমা, বড়পর্দায় ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ শোনাবেন পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য]
উল্লেখ্য, রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ৯৫৪ জন। সংক্রমণের নিরিখে তারপরেই রয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন যথাক্রমে ৪৯৬ এবং ১২৬ জন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হাওড়া। এখানে একদিনে সংক্রমিত ২৯৮ জন। তার ফলে গোটা রাজ্যজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৮৫ জন।
এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভায় জরুরি বৈঠক ডাকেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কোনও এলাকায় ৫-৬ জন করোনা আক্রান্ত হলে ওই এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হবে বলেই জানান তিনি। এছাড়া কোভিড সচেতনতায় সকলকে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেন।