সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ মাটি বিতর্কিত৷ এ মাটির গভীরে লুকিয়ে আছে দাঙ্গার ইতিহাস৷ কিন্তু সময়ের ধুলো সবকিছুর উপর যেন টেনে দিয়েছে পুরু আস্তরণ৷ আর আলো ফেলেছে মানবিকতা৷ ইতিহাসের ক্ষত মুছে তাই নতুন করে ফিরে দাঁড়িয়েছে অযোধ্যা৷ আর তাই সেলিমের তৈরি খড়মেই আস্থা সাধুদের৷ নিমার হাতে তৈরি মালাতেই পুজো দিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা৷
অযোধ্যার হনুমান গড়ির সামনে প্রতিদিনই মালা গাঁথেন নিমা খাতুন৷ এছাড়া অন্যান্য পুজোর সামগ্রীও পাওয়া যায় তাঁর কাছে৷ হিন্দুরা সানন্দেই তাঁর থেকে পুজোর জিনিস কিনে নিয়ে যান৷ কোথাও কোনও বিদ্বেষ নেই৷ মহম্মদ সেলিম আবার খড়ম তৈরিতে ওস্তাদ৷ তিন পুরুষ ধরে তাঁরা এ জিনিস তৈরি করছেন৷ সুতরাং পারদর্শিতায় তাঁর ধারেকাছে কেউ নেই৷ সাধুরাও কোনও দ্বিধা না করে তাঁর খড়মেই আস্থা রাখেন৷
যে অযোধ্যা নিয়ে এত বিতর্ক সেখানে এই ছবি নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য৷ বাবরির ইতিহাস নিয়েও উঠে আসছে এই সম্প্রীতির ছবি৷ এমনকী স্থানীয় হিন্দুদের ব্যবহারেও কোথাও কোনও অসূয়া নেই বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা৷
শুধু এই ছবিটাই বদলে যায় ৬ ডিসেম্বর৷ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কথা মাথায় রেখে সেই দিন কোনও কাজ করেন না মুসলিমরা৷ বাড়ির বাইরেও বেরোন না তেমন৷ তবে বছরের বাকিটা সময় এই একটা দিনের কথা তাঁরা মনেও রাখেন না৷ নিমা খাতুন তো তাই বলেই দিলেন, এ মাটিতে গণ্ডগোল থাকতে পারে, কিন্তু এখানকার মানুষদের মনে কোনও বিদ্বেষ নেই৷