রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ট্রাম, বাস, ট্রেন ফাঁকা৷ মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে বনধকে সমর্থন করেছেন৷ বললেন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার জোর করে বাস চালিয়েছে৷ কিন্তু, মানুষ রাস্তায় বেরোননি৷ বুধবার বনধের সমর্থনে হাজরা দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব মিছিল করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা৷ পুলিশ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ বনধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়৷ গ্রেপ্তার ১২ জন৷ ব্রবোর্নে রোডে যাত্রীদের নামিয়ে একটি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালান বনধ সমর্থকরা৷ বাসে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ আতঙ্কে বাস থেকে নামতে গিয়ে আহত এক প্রৌঢ়৷ এদিকে ইসলামপুর ইস্যুতে পুজোর আগে পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷
[বেলা বাড়তেই পথে বিজেপি, বনধের বিরোধিতায় পালটা মিছিল তৃণমূলেরও]
ইসলামপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার বিজেপির বনধে তেমন সাড়া মিলল না৷ কলকাতায় জনজীবন কার্যত স্বাভাবিক৷ তবে জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে৷ শিয়ালদহ মেন লাইনে বেশ কয়েকটি স্টেশনে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা৷ কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে বেশ কয়েকটি বাস আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ এদিন বনধের সমর্থনে হাজরায় মিছিল করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা৷ নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ বনধ কী সফল? দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ট্রাম, বাস, ট্রেন ফাঁকা৷ মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে বনধকে সমর্থন করেছেন৷ সরকার জোর করে বাস চালানোর চেষ্টা করলেও মানুষ রাস্তায় নামেননি৷ হাজরার বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়৷ গ্রেপ্তার হন ১২ জন৷
শুধু বনধেই থেমে থাকতে চায় না রাজ্য বিজেপি৷ পুজোর আগে ইসলামপুর ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলন চলবে জানিয়েছে বিজেপি৷ বৃহস্পতিবার ইসলামপুর কাণ্ডে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের লোককে কলকাতায় নিয়ে আসবেন বিজেপি নেতারা৷ দলের নেতা মুকুল রায় জানিয়েছেন, সিবিআই তদন্ত চেয়ে মৃতের পরিবারের লোকদের দিয়েই হাই কোর্টে মামলা করানো হবে৷ একই দাবিতে ইতিমধ্যেই হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ এদিকে আবার বৃহস্পতিবার থেকে ইসলামপুরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে কলকাতায় ধরনা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপির মহিলার মোর্চা৷ সবমিলিয়ে ইসলামপুর ইস্যুতে সরকারকে চাপে ফেলতে বদ্ধপরিকর বিজেপি৷
দেখুন ভিডিও:
[ বনধের সকালে কার্যত স্বাভাবিক কলকাতা, রাস্তায় অতিরিক্ত সরকারি বাস]