ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: এমফিল ও পিএইচডি’র ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে বিশ্বভারতীর (Vishva Bharati) পড়ুয়ারা। সোমবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফের বিক্ষোভে শামিল হলেন বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)-এর সদস্যরা। প্রায় ৫০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী এই বিক্ষোভে যোগ দেন। আগে দু’ বার তাঁদের এই বিক্ষোভ ঘিরে যথেষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল অফিসের সামনে। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিক্ষোভ শুরুর অনেক আগেই কেন্দ্রীয় অফিস যাওয়ার রাস্তা দু’টি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর ফলে এলাকার বহু সাধারণ মানুষজন যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন।
গত ৩০ জুন, ৩ জুলাই – দু’দিন ফি বৃদ্ধির (fees hike) প্রতিবাদে বিশ্বভারতীর গবেষণারত পড়ুয়ারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। নেতৃত্ব দেয় এসএফআই। সেই সময় পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের রীতিমতো বচসা শুরু হয়। অশান্তি এড়াতে সোমবারের বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা জানতে পেরে তাই আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পডুয়াদের বিক্ষোভ রুখতে গিয়ে রাস্তা বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের যে সমস্যা তৈরি করা হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ বোলপুরবাসী (Bolpur)।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বিজেপিতে ভাঙন, পদ্ম শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ ৩৬০ জন কর্মীর]
তবে কোর্স ফি না কমালে গবেষক পডু়য়ারাও যে এই আন্দোলন থেকে সরে আসবে না, সেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে। তাঁদের অভিযোগ, করোনা আবহে যেখানে আর্থিক সংকট চলছে বহু পরিবারে, সেখানে ২৫ গুণের বেশি কোর্স ফি বৃদ্ধি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। এমফিল ও পিএইচডি-র কোর্স ফি বাড়ানো হয়েছে অনেকটাই। তা ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এমফিলের মার্কশিট এবং পরীক্ষা ফি হিসাবে ৪০০ এবং ১০০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। একইভাবে পিএইচডি-র ক্ষেত্রে কোর্স ওয়ার্ক ফি হিসাবে ১১০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে এসব ফি এতটা বাড়ানো হল কেন? এরই প্রতিবাদে সোমবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই সমর্থক পড়ুয়ারা ।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ, বুধবার থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা]
অন্যদিকে, জুনের বেতন না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছে নালিশ জানাল অধ্যাপক সংগঠন VBUFA। তাদের অভিযোগ, উপাচার্যের মদতেই তাঁদের বেতন আটকে রয়েছে।