সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হন ‘চিনপন্থী’ মহম্মদ মুইজ্জু। মসনদে বসেই ভারতকে হুঙ্কার দিয়েছিলেন দেশ থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার। তার পর থেকেই অবনতি হতে শুরু করে দুদেশের সম্পর্কের। এর মাঝখানে আগুনে ঘি ঢালেন দ্বীপরাষ্ট্রটির কয়েকজন নেতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে করা তাঁদের মন্তব্যের পর থেকেই ভারতজুড়ে শুরু হয় ‘বয়কট মালদ্বীপ’। রেকর্ড হারে ভারতীয় পর্যটক কমতে শুরু করে পড়শি দেশে। এই সমস্ত কিছু নিয়েই মুইজ্জুকে দুষলেন মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ। ক্ষমা চাইলেন ভারতীয়দের কাছেও।
মুইজ্জুর ‘চিনপন্থী’ মনোভাব ও মোদিকে করা তাঁদের মন্তব্যের জেরে ভারতীয় পর্যটক কমে যাওয়ার কারণে মার খাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রটির পর্যটনশিল্প। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন মহম্মদ নাশিদ। মালদ্বীপের সকল মানুষের হয়ে ভারতের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। এখন ভারতেই রয়েছেন নাশিদ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন, “এই ঘটনা মালদ্বীপের উপর প্রভাব ফেলছে। আমি খুবই উদ্বিগ্ন। যা ঘটেছে তার জন্য মালদ্বীপের মানুষ খুবই দুঃখিত। আমি সকলের হয়ে ভারতের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমরা চাই ভারতীয়রা ছুটি কাটাতে আমাদের দেশে আসুন। আমাদের আতিথেয়তায় কোনও পরিবর্তন হবে না।”
নাশিদ সরব হয়েছেন মুইজ্জুর ‘চিনপ্রীতি’ নিয়েও। সেনা সরানোর প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যখন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট চেয়েছিলেন ভারতীয় সেনা দেশ থেকে চলে যাক তখন জানেন ভারত কী করেছিল? ভারত কিন্তু তাদের শক্তি প্রদর্শন করেনি। বরং তারা মালদ্বীপের সরকারকে বলেছিল, ঠিক আছে এটা নিয়ে আমরা আলোচনায় বসতে পারি।” বেজিং-মালে প্রতিরক্ষা চুক্তি কথার খারিজ করে তিনি বলেন, ” আমার মনে হয় মুইজ্জু কিছু সরঞ্জাম কিনতে চেয়েছিলেন। বিশেষ করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট। তাঁর মনে হয়েছে, দেশের জন্য এগুলোর আরও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু বন্দুকের নল দিয়ে কখনও সরকার চালানো যায় না।”
বলে রাখা ভালো, ১০ মার্চে মালদ্বীপে মোতায়েন ভারতীয় সেনাকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা শেষ হবে ১০ মে। কয়েকদিন আগেই ‘চিনপন্থী’ প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু জানিয়ে দিয়েছেন, ১০ মে-র পর আর কোনও ভারতীয় সেনাকর্মীকেই ঢুকতে দেওয়া হবে না দ্বীপরাষ্ট্রে। এমনকী, সাদা পোশাক পরেও নয়। তাঁর দাবি,ভারতীয় সেনাকর্মীরা সাদা পোশাকে মালদ্বীপে ঢুকছেন।