সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ আনলেন বিহারের মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। যে সমস্ত আসতে তারা সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন, সেখানে ফের ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন তিনি। লালু-পুত্রের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী ও নীতীশজি আমাকে হারাতে সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেছিলেন। কিন্ত আরজেডিকে একক বৃহত্তম দল হওয়া থেকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা।”
বিহারে পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হতেই এক ধাক্কায় অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল মহাজোট। মনে করা হচ্ছিল বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা আসছেন তাঁরা। কিন্তু বেলা গড়াতেই ছবিটা বদলাতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত ১১০ টি আসনে জয় হয় মহাজোটের। ১২৫টি আসন পায় এনডিএ। জয় পাওয়া অতিরিক্ত ১৫টি আসনে ভোটের ফারাক নামমাত্র। যা বিতর্ক তৈরি করেছে। লালু-পুত্রের অভিযোগ, “বিহারের মানুষ মহাজোটকে চেয়েছে কিন্তু কমিশন এনডিএকে জিতিয়ে দিয়েছে।”
[আরও পড়ুন : বেকারত্ব কমাতে একাধিক পদক্ষেপ, ‘আত্মনির্ভর রোজগার যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার]
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব দাবি করেন, বিহারে এনডিএ পেয়েছে ৩৭.৩ শতাংশ ভোট। আর মহাজোট পেয়েছে ৩৭.২ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ ১২ হাজারের চেয়ে সামান্য বেশি ভোট এসেছে মোজি-নীতীশ জুটির ঝুলিতে। আর তাতেই ১৫টি আসন হাসিল করেছে তারা। এই অংকে গন্ডগোল রয়েছে বলে অভিযোগ লালু-পুত্রর। তাই এই আসনগুলিতে ফের ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিন তেজস্বী বলেন, “প্রার্থীদের প্রশ্ন থাকলে তার উত্তর দেওয়া নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। গোটা গণনা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে।” সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন তেজস্বী। ভোট গণনার শুরুতেই পোস্টাল ব্যালট গুনে ফেলতে হয় বলে জানিয়েছেন লালু-পুত্র। কিন্তু বহু গণনাকেন্দ্রেই সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ এনেছেন তিনি। এমনকী, কোথাও কোথাও ৮০০-৯০০ পোস্টাল ব্যালট বাতিল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
[আরও পড়ুন : ‘গো ব্যাক মোদি’, JNU ক্যাম্পাসে বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের ডাক]
এ প্রসঙ্গে এদিন তেজস্বী বলেন, “শিক্ষিত মানুষেরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেন। ফলে তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। অথচ ৮০০-৯০০ ভোট বাতিল হয়েছে। কেন বাতিল হয়েছে, তাও খোলসা করে বলা হয়নি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।” ভোট আধিকারিকদের উপর প্রশাসনিক চাপ ছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পরিশেষে নীতীশ কুমারকে কটাক্ষ করে তেজস্বীর মন্তব্য, “সন্ন্যাস নেওয়ার আগে এরকম মিথ্যাচার করবেন না।”