সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার গোটা বিশ্বেরই চোখ থাকবে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে। রাজা তৃতীয় চার্লসের (King Charles III) রাজ্যাভিষেক বলে কথা। মসনদে বসার প্রায় আট মাস পরে ব্রিটেনের রাজা চার্লসের করোনেশন নিয়ে নানা আলোচনা, রাজ পরিবার নিয়ে নানা স্মৃতিচারণায় সরগরম আন্তর্জাতিক আঙিনা। আর এমন সব আলোচনায় রানি ক্যামিলার কোহিনুর না পরার পাশাপাশি ফিরে আসছেন এমন একজন মানুষ, যিনি থাকলে আজ হয়তো তাঁর অসামান্য ক্যারিশ্মায় অনুষ্ঠানের সব আলো একাই শুষে নিতেন। তিনি লেডি ডায়না (Lady Diana)। চার্লসের প্রাক্তন ও প্রয়াত স্ত্রী। ১৯৯৭ সালে এক দুর্ঘটনায় আকস্মিক দুর্ঘটনায় তিনি প্রয়াত হলেও আজও বাকিংহাম প্যালেসে তাঁর অনিবার্য ‘ছায়া’ উপস্থিতি।
চার্লসের সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয় ১৯৯২ সালে। ডিভোর্স হয়ে যায় ১৯৯৬ সালে। অর্থাৎ মৃত্যুর সময় তিনি রাজ পরিবারের সদস্য নন। তবুও মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তাঁর প্রয়াণের সময় প্রাথমিক ভাবে লন্ডনে ফিরতে আগ্রহী ছিলেন না শাশুড়ি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাঁর এই কাঠিন্য রানির জনপ্রিয়তার গ্রাফ রাতারাতি অনেকটাই নামিয়ে দিয়েছিল! এমনই ছিল ডায়নার ‘ম্যাজিক’। যার জেরে শেষ পর্যন্ত মত বদলান এলিজাবেথ। ডায়নাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণও দেন।
[আরও পড়ুন: লাফিয়ে বেড়েছে রোজগার! করোনা টিকা নির্মাতা মডার্নার সিইওর উপার্জন শ্রমিকের ১২ হাজার গুণ!]
ডায়নার মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে আড়াই দশক। এখনও বাকিংহাম প্যালেসের সঙ্গে তাঁর নাম মুছে যায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই আলোচনা চলছে, আজ ডায়না থাকলে কী হত? প্রাক্তন স্বামীর জীবনের এত বড় দিনে তিনি কি আসতেন? এই প্রশ্নের জবরদস্ত উত্তর দিয়েছেন ডায়নার প্রাক্তন বাটলার। পল বারেল নামের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ”আমার ধারণা তিনি আসতেন। কেবল আসতেনই না। অসাধারণ দেখাত তাঁকে। তিনি বাকিদের ম্লান করে দিতেন। হয়তো অনেকে রেগে যেতেন। কিন্তু উনি আসতেনই। এবং আলো ছড়াতেন।”
চার্লসের রাজ্যাভিষেকের আরও এক আলোচ্য বিষয় নিঃসন্দেহে কোহিনুর। রানি ক্যামিলার মুকুটে থাকছে না ‘আলোর পাহাড়’। কেন এই সিদ্ধান্ত, তা স্পষ্ট করেনি বাকিংহাম প্যালেস। তবে মনে করা হচ্ছে, পর্দার আড়ালে ভারতের কূটনেতিক চাপের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে গুঞ্জনের পাশাপাশিই প্রয়াত ডায়নাও উঠে আসছেন আলোচনায়। তিনিও যে কোহিনুরের মতোই। একমেবাদ্বিতীয়ম।