সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকপাল বিল পাশ করানোর কথা রাখেনি বিজেপি সরকার। ৩০ জানুয়ারি থেকে অনশন শুরু করেছেন আন্না হাজারে। কিন্তু চারদিন যেতে যেতেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করেছেন। রক্তচাপ বাড়ছে। চিকিৎসকরা কথা বলতে বারণ করেছেন। এরপরই হাজারে হুঁশিয়ারি দিলেন, তাঁর যদি কিছু হয়, তাহলে দায়ী থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[আরও পাঁচ বছর সিমিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের]
শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে চিঠি পাঠানো হয় আন্না হাজারেকে। ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন আন্না হাজারে। তারই জবাবে চিঠি আসে। আন্না হাজারে বলেন, “২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে চিঠি এসেছিল। গতকাল তা আমার হাতে আসে। সেখানে শুধু লেখা ছিল, আমরা আপনার চিঠি পেয়েছি। শুভেচ্ছা। কিন্তু আমার লোকপাল, লোকায়ুক্ত, কৃষকদের সমস্যা, ফসলের দাম নিয়ে কোনও কথাই লেখা ছিল না। এরপর যদি আমার কিছু হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর জন্য দায়ী থাকবে।” শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরই প্রধানমন্ত্রীকে ৩৫টি চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু একবারও কোনও সদুত্তর আসেনি। বারবার লোকপাল বিলের দাবি তুলে ইউপিএ সরকারের আমল থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন আন্না হাজারে। কিন্তু কোনও সরকারের আমলেই লোকপাল বিল নিয়ে বিশেষ কিছু হয়নি। সামনে নির্বাচন। তার আগে লোকপাল বিল পাশ না হওয়ায় অনশন শুরু করেন তিনি।
[নতুন সিবিআই প্রধান নিযুক্ত হলেন ঋষি কুমার শুক্লা]
চিকিৎসক ধনঞ্জয় পটে আন্না হাজারের চিকিৎসার দায়িত্ব রয়েছেন। শনিবার সকালে রুটিন চেক-আপ করার পর তিনি বলেন, “চারদিন অনশন করে দেহের ৩.৪ কেজি ওজন কমেছে। তাঁর রক্তচাপও বেড়েছে। ভাষণ বা কথা বলাও বারণ। যত কম কথা বলা হয়, ততই ভাল।” শনিবার আন্না হাজারের বাসভবনে রেলেগান সিদ্ধিতে তাঁর সমর্থকরা রাস্তায় আটকে প্রতিবাদ জানান। কয়েকজন সমর্থককে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ।