ইএলএসএস। সম্পূর্ণ নাম ইকুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম। কর বাঁচানোর ব্যাপারে এই ধরনের স্কিমকে ব্যতিক্রমীই ধরে নেওয়া হয়। স্যামকো মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বশেষ প্রোডাক্টটিও এই শ্রেণিভুক্ত। তা নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন এবারের অতিথি পরস মাতালিয়া
ট্যাক্স বাঁচানোর ক্ষেত্রে ইএলএসএস (ইকুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম) বেশ ব্যতিক্রমী। স্বল্প লক ইন (তিন বছর) এবং ক্যাপিটাল অ্যাপ্রিশিয়েশন এনে দেওয়ার ক্ষমতা-এই দুইয়ের মিলিত শক্তির উপরে আস্থা রাখেন অনেক বিনিয়োগকারী। স্যামকো মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বশেষ প্রোডাক্টটিও এই শ্রেণিভুক্ত। ‘সঞ্চয়’-এর প্রশ্নের উত্তর দিলেন শ্রী পরস মাতালিয়া, হেড অফ ইকুইটি রিচার্স, স্যামকো অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি।
সাধারণ ইনভেস্টরের পোর্টফোলিওতে ইএলএসএস-এর স্থান কোথায় হতে পারে?
জানেনই তো, ট্যাক্স সেভিং করার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায় ইএলএসএস। যেখানে অন্য ট্যাক্স সেভিংস প্রকল্পের লক ইন অনেক বেশি, সেখানে কেবল তিন বছর লক ইন রাখলেই চলে। অনেকেই ইকুইটি স্কিমে লগ্নি করেও খুব তাড়াতাড়ি এগজিট করার কথা ভাবেন। তাঁদের রিটার্ন কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি ফান্ড ইন্ডাস্ট্রির সামগ্রিক তথ্য দেখেন, তাহলে বুঝবেন অতি শীঘ্র রিডিম করে নেন বহু ইনভেস্টর। কেবল দু’বছর থেকেই এগজিট করেছেন এমন লগ্নিকারীর সংখ্যা কম নয়। এখানে অর্থাৎ ট্যাক্স সেভিং স্কিমের ক্ষেত্রে তিন বছর লগ্নি ধরে রাখতেই হবে। তাই রিটার্ন বেশি পাওয়া সম্ভব। অবশ্য ফান্ড ম্যানেজার কীভাবে, কোন কৌশলে বিনিয়োগ করেন, তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। যেমন ধরুন, আমাদের নিজের ট্যাক্স সেভিং ফান্ডের কথাই বলি। আমরা প্রধানত মিড ক্যাপ এবং স্মল ক্যাপে বিনিয়োগ করব ঠিক করেছি। হ্যাঁ, অনিশ্চয়তা হয়তো বেশি থাকবে কিন্তু বেশি রিটার্নও পাওয়ার সুযোগ পাব একইসঙ্গে।
[আরও পড়ুন: বিনিয়োগ করতে চাইছেন? বড় সুযোগ দিচ্ছে এলআইসি]
সাধারণ লগ্নিকারী কি ট্যাক্স সেভিংস ফান্ডের সঙ্গে অন্য ইকুইটি ফান্ডের তুলনা করতে পারেন?
ইএলএসএসকে লক ইন পিরিয়ডের নিরিখে দেখুন। অন্য সাধারণ ইকুইটি ফান্ডের সঙ্গে তুলনা না করাই ভাল। অর্থাৎ এই লক ইনই তফাত গড়ে দেয়, এর জন্যই ইএলএসএস বেশ ব্যতিক্রমী একটি প্রোডাক্ট। এই শ্রেণীর ফান্ড, আমি মনে করি, ট্যাক্স প্ল্যানিং করার জন্য আদর্শ হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। অন্য ইকুইটি-ভিত্তিক লগ্নি ব্যবহার করে এই সুযোগ পাওয়া যাবে না।
স্যামকো ইএলএসএস কোন কোন সেক্টরের উপরে নজর রাখবে?
আমরা নানা ধরনের ইন্ডাস্ট্রির দিকে মন দেব, যাতে এই ফান্ডটির পোর্টফোলিও যথাযথভাবে ডাইভারসিফায়েড হয়। মিড ক্যাপ এবং স্মল ক্যাপ হলেও আমাদের বেছে নেওয়া কোম্পানিগুলি নিজ নিজ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় থাকবে। এবং সেই সমস্ত ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মার্কেটে লিডারশিপ পজিশন উপভোগ করবে। এই মুহূর্তে আমাদের ‘ওভারওয়েট’তালিকায় আছে কেমিক্যাল, ইনফোটেক, ফার্মা এবং কনজাম্পশন সেক্টরগুলি। একইসঙ্গে ‘আন্ডারওয়েট’ তালিকায় রয়েছে পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস, ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং রিয়েল এস্টেট।
সতর্কীকরণ
লগ্নির যাবতীয় সিদ্ধান্ত একমাত্র বিনিয়োগকারীর নিজের, দায়িত্বও তাঁর। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর এতে কোনও ভূমিকা নেই। লগ্নি-জনিত ফলাফল বিনিয়োগকারীর সিদ্ধান্তের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল, তাই বাজারের ঝুঁকির ব্যাপারে সব জেনে নিয়েই পদক্ষেপ করবেন।