রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট তথা আরইআইটি, নিজস্বভাবে প্রপার্টির বাজারে লগ্নি করে। আর সেই সম্পত্তি আবাসিক থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল-অনেক কিছুই হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের এই নিয়ে বিশদে জানাচ্ছে টিম সঞ্চয়
রিয়েল এসটেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট নিয়ে আমরা আগে সেভাবে চর্চা করার সুযোগ পাইনি, তবে মাহিন্দ্রা মিউচুয়াল ফান্ডের নতুন প্রকল্প এই REIT ঘিরে। তাই আজ কিছু গোড়ার কথা বলতে চাই। প্রথমেই জানাই যে, এ জাতীয় প্ল্যানের মাধ্যমে লগ্নিকারীর টাকা রিয়েল এস্টেট মার্কেটে বিনিয়োগ হয়, তবে একটু ঘুরপথে। REIT নামেই বোঝা যাচ্ছে, এটি হল সেই সংস্থা, যা নিজস্বভাবে (অর্থাৎ বিনিয়োগকারী হিসাবে) প্রপার্টির বাজারে লগ্নি করে। যে সে প্রপার্টি নয়, কেবল সেই ধরনেরই প্রপার্টি যা নির্দিষ্ট কোনও উপার্জন এনে দেয়। এবং সেই প্রপার্টি অনেক কিছুই হতে পারে-রেসিডেন্টসিয়াল, ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল বা হোটেল পর্যন্ত। যাঁরা REIT-তে বিনিয়োগ করেন, তাঁরা এ সমস্ত প্রপার্টি থেকে পাওয়া উপার্জনের ভাগীদার হন। নিজেদের কিনতে হয় না। বা ম্যানেজও করতে হয় না।
[আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতির কতটা প্রভাব লগ্নিতে, বিনিয়োগের সময় মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি]
ঘটনাচক্রে, বেশিরভাগ REIT-ই স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত হয়, এবং প্রয়োজনে ট্রেডিংও করা যায়। তাই যথেষ্ট ‘লিকুইডিটি’ থাকে বলেই আশা করা হয়। এই প্রসঙ্গে ইনভেস্টরদের জন্য কিছু দরকারি কথা–
১. REIT-তে বিনিয়োগ করলে, বিশেষত বিদেশি REIT-বেছে নিলে, সাধারণ লগ্নিকারীর হোল্ডিং আরও একটু ডাইভারসিফায়েড হয়, কিছু ঝুঁকিও কমতে পারে। তবে নিশ্চয়তা নেই।
২. ‘রেন্টাল ইনকাম’ (ভাড়া বাবদ রোজগার) যে REIT-তে, সেগুলি বেছে নিতে পারেন।
৩. বিদেশি বাজারে REIT অনেকদিন যাবৎ আছে, যথেষ্ট সংখ্যক বিনিয়োগকারীও সেগুলি কিনেছেন। মূলত যে ধরনের রিয়েল এস্টেটে তাঁদের অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অফিস স্পেস, রিটেল শোরুম/বাজার, হেলথকেয়ার স্পেস ফেসিলিটি ইত্যাদি।
এ তো হল নেপথ্যের কাহিনি। যে বিনিয়োগটি নিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম, সেটি নিয়ে সংক্ষেপে বলা যাক – ভারতীয় লগ্নিকারীর জন্য অপেক্ষাকৃত নতুন বক্তব্য। মাহিন্দ্রা ম্যানুলাইফ এশিয়া প্যাসিফিক REIT ফান্ড অফ ফান্ডস-এর কথা বলছি। হংকং, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর-সহ একাধিক দেশের REIT এখানে উপস্থিত থাকবে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য প্রধানত দু’টি- ক্যাপিটাল গ্রোথ এবং স্টেবল ইনকাম।
স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জানানো দরকার যে প্রকল্পটি ১২ই অক্টোবর পর্যন্ত খোলা (প্রাথমিক অবস্থায়)। এর আগে কোটাক মিউচুয়াল ফান্ডও এই জাতীয় প্রকল্প এনেছে, এবং অন্যান্য কিছু ফান্ড হাউসও আগামিদিনে REIT-তে লগ্নিকারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।