আমরা একাধিক অ্যাডভাইসরের সঙ্গে মাল্টি অ্যাসেটের বিষয়ে কথা বলেছি। এঁদের মধ্যে ব্রিশাঙ্ক ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের ডিরেক্টর শ্রী সৌমিক সাহা যা বললেন, তার সারাংশ তুলে ধরা হল তাঁরই বয়ানে।
এই মুহূর্তে বাজার বেশ ‘বুলিশ’, তা ইনডেক্সের উত্থান দেখলেই স্পষ্ট। সাধারণ ইনভেস্টরদের মধ্যে অনেকেই খুব আশাবাদী। কী ধরনের রিস্ক আছে, তা পুরোপুরি না বুঝেই তাঁরা রিটার্নের সন্ধানে লগ্নি করেন, এবং করেও চলেছেন। ইক্যুইটি কিন্তু খুব অনিশ্চিত একটি অ্যাসেট ক্লাস, আর শর্ট টার্ম ভোলাটিলিটি প্রবলভাবে উপস্থিত এখানে। অন্যদিকে আছে আর এক শ্রেণির ইনভেস্টর, যাঁরা সনাতনী অ্যাসেটেই মনোনিবেশ করতে পছন্দ করেন। তার ফলে এঁদের অনেকেই লং টার্মে যথেষ্ট সম্পদ গঠন করতে অক্ষম। ভারতীয় স্টক মার্কেটের বড়মাপের সম্ভাবনা উপেক্ষা করেন এঁরা।
মাল্টি অ্যাসেট পোর্টফোলিও এই ধরনের লগ্নিকারীর পক্ষে আদর্শ হিসাবে ধরা যেতে পারে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যা চান, তাই-ই এই রকম প্রোডাক্টের সাহায্য পেতে পারেন। একসঙ্গে একাধিক অ্যাসেট ক্লাসে লগ্নি করার সুবিধা আর কীসে পাবেন তাঁরা? সেই যে পুরনো আপ্তবাক্য – don’t put all your eggs in one basket–তা স্মরণ করুন। একটাই পোর্টফোলিওতে মিলিয়ে মিশিয়ে অ্যাসেট ক্লাসগুলির সমন্বয়। ইক্যুইটি, ডেট, গোল্ড এবং রিয়েল এস্টেট। প্রতিটির নির্দিষ্ট ভূমিকা থাকে, এবং তার সামগ্রিক ফলও বেশ ভালো হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ট্যুরিজম সেক্টরে বাড়বে ভ্যালুয়েশন, লগ্নি করুন আজই]
এই প্রসঙ্গে আমার কয়েকটি বিশেষ পয়েন্ট এখানে তালিকাভূক্ত করলাম:
১. মাল্টি অ্যাসেটে বেশ গুছিয়ে এবং প্ল্যান মাফিক বিনিয়োগ করলে সুফল পাবেন।
২. তবে তার জন্য চাই যথেষ্ট সময়। রাতারাতি কিছুই হবে না, তা তো বোঝেনই।
৩. আপনার দরকার ডাইভারসিফিকেশন, এবং তারই সঙ্গে চাই রিস্ক কমানোর ইচ্ছা। মাল্টি অ্যাসেট পোর্টফোলিওতে যদি অ্যালোকেশন করেন, তা পেতে পারেন সহজেই।
৪. সময় দিলে রিটার্ন পেতেও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। একটি অ্যাসেট ক্লাস যদি সাময়িকভাবে ‘আন্ডার পারফর্ম’ করেও, অন্যগুলো থাকার সুবাদে সুযোগ পাবেন ইনভেস্টররা।
আমার পছন্দের পাঁচটি মাল্টি ক্যাপ ফান্ড
১. HDFC Multi Asset
২. SBI Multi Asset Allocation
৩. Aditya Birla Sunlife Asset Allocation
৪. Nippon India Multi-Asset
৫. SBI Multi Asset Allocation