ট্রেড পণ্ডিতদের নজরে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা পরিচালিত পাঁচটি সেক্টরভিত্তিক ফান্ড। কী, কী সেই ফান্ড আর কোন কোন সেক্টরেই বা তা লগ্নি করে, জেনে নিন টিম সঞ্চয়-এর তথ্যনির্ভর এই লেখায়।
এই সপ্তাহের বিশেষ আলোচনা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার পরিচালিত সেক্টর ফান্ডের। এসবিআই মিউচুয়াল ফান্ড, যা দেশের বৃহত্তম ফান্ড হাউস বলে পরিচিত, অন্তত পাঁচটি সেক্টরভিত্তিক ফান্ড পরিচলানা করছে এই মুহূর্তে।
১. এসবিআই হেলথকেয়ার অপরচুনিটিজ ফান্ড
২. এসবিআই ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস ফান্ড
৩. এসবিআই টেকনোলজি অপরচুনিটিজ ফান্ড
৪. এসবিআই কনসাম্পশন অপরচুনিটিজ ফান্ড
৫. এসবিআই এনার্জি অপরচুনিটিজ ফান্ড
[আরও পড়ুন: অবসরের পরও আছে জীবন, বাঁচুন প্রাণ ভরে, এখনই করুন পরিকল্পনা]
নাম শুনলেই বোঝা যাচ্ছে, ঠিক কোন সেক্টরে এই ফান্ডগুলো বিনিয়োগ করে। এর সঙ্গে এসবিআই পিএসইউ ফান্ড বা এসবিআই ইনফোটেক ফান্ডও আছে বটে, তবে এই পাঁচটির তালিকায় থাকা নামগুলো ইদানীং নানাভাবে নজর কেড়েছে। উল্লেখ্য, শেষের নামটি (এনার্জি অপরচুনিটিজ) তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন। সেক্টর তথা থিম-নির্ভর ধারণার মধ্যে এই মুহূর্তে অগ্রণী ভূমিকায় এনার্জি রয়েছে, এ কথা মার্কেটে অনেকেই বিশ্বাস করেন। বিভিন্ন কারণে হেলথকেয়ার, কনসাম্পশন ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোও খবরের শিরোনামে আছে বলে তাঁদের বক্তব্য।
সঙ্গের চার্টগুলো দেখলে সংশ্লিষ্ট ফান্ড ম্যানেজার ঠিক কীভাবে পোর্টফোলিও গঠন করেছেন, তা বোঝা যাবে। বলে রাখা ভালো, প্রতিটি ফান্ডই স্বল্প পরিসরে ঘোরাফেরা করে। ‘ন্যারো ইউনিভার্স’-এর বিষয়ে অনেকেই সতর্ক, কারণ নির্দিষ্ট একটি ক্ষেত্র থেকেই স্টক বেছে নিতে হয়। সেই অর্থে ডাইভারসিফাই করা হয় না।
[আরও পড়ুন: ইচ্ছেঘরের চাবি! জেনে নিন হোম লোনের খুঁটিনাটি]
যে কয়েকটি জরুরি বিষয় জেনে রাখা দরকার :
১. রিস্ক খুব উচ্চ মাত্রার, কারণ কেবল একটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই বিচরণ করেন ফান্ড ম্যানেজার।
২. রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনাও খুব ভালো–বিশেষ করে যখন নির্দিষ্ট সেক্টরটির অন্তর্গত স্টকগুলোর ‘ভ্যালুয়েশন’ বাড়তে থাকে।
৩. সেক্টর ফান্ড সাধারণত বিনিয়োগকারীর প্রধান অস্ত্র হয় না। ডাইভারসিফায়েড ফান্ডে মূল লগ্নি করে সঙ্গে সেক্টর ফান্ড নিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। এক শ্রেণির অ্যাডভাইজরদের ধারণা, ১০-২০% অ্যাসেট এই জাতীয় ফান্ডে রাখা যেতে পারে। কৌশলী লগ্নিকারী এমনই করে থাকেন বহু সময়। বিশেষ কোনও নিয়ম খাটে না এই সব ব্যাপারে। প্রতিটি লগ্নিকারী নিজের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বুঝে যেন সেক্টর ফান্ডে লগ্নি করেন, এমন পরামর্শ সকলেরই।