লগ্নির জগতে লার্জ ক্যাপের অবদান যে কতটা নির্ভরযোগ্য এবং স্থিতিশীল, সে কথা সর্বজনবিদিত। তবে তা বলে চোখ বুজে এই ধরনের ফান্ডে লগ্নি করা মোটেও সমীচীন নয়। লগ্নির আগে অবশ্যই দেখে নিন, রিস্ক প্রোফাইলের সঙ্গে সাযুজ্য রয়েছে কি না। লিখছে টিম সঞ্চয়
বাজেটের ঠিক আগে-পরের অস্থিরতার জন্য মার্কেটের একাংশের নজর ফের ঘুরছে লার্জ ক্যাপের দিকে। বিশ্বস্ত এবং তুলনায় সুরক্ষিত হিসাবে পরিচিত স্টকের প্রতি ফের আগ্রহ প্রকাশ করছেন ইনভেস্টররা। মিড ক্যাপ এবং অবশ্যই স্মল ক্যাপের তুলনায় লার্জ ক্যাপ অনেকটাই বাঁচাবে, বিশেষ করে যখন মার্কেটে অনিশ্চয়তা বেশি থাকবে, এমনই বিশ্বাস করেন লগ্নিকারীদের মধ্যে এক বৃহৎ অংশ। বড়-মাপের ট্রেডিং ভল্যুউম থাকা, অনেক বিনিয়োগকারীদের রেডারে থাকা, এবং বহু পেশাদার পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের নজরের মধ্যে থাকা–সব মিলিয়ে লার্জ ক্যাপ শেয়ারগুলো অপেক্ষাকৃত ‘স্টেবল’বা স্থিতিশীল থাকতে পারে।
এই অবস্থায় কী বলছেন পেশাদাররা? তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেই নিচের এই লেখা। সঙ্গের পয়েন্টগুলো দেখুন।
১. নিজের পোর্টফোলিওর অন্তত ২৫-৩০% এমন লার্জ ক্যাপে লগ্নি করে রাখুন। তবে তা যেন অবশ্যই রিস্ক প্রোফাইলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়। এই ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট নিয়মনীতি না থাকাই ভালো।
২. লার্জ ক্যাপ ইনডেক্সের উপর চোখ রাখবেন। দরকার মনে করলে ইনডেক্স ফান্ডের সাহায্য নিন। তবে খেয়াল রাখুন, সেখানে সংশ্লিষ্ট পেশাদার ম্যানেজার কখনই সূচকটিকে হারানোর চেষ্টা করবেন না।
৩. একাধিক ফান্ডে নিজের লার্জ ক্যাপ অ্যালোকেশন ছড়িয়ে দিন। কখনওই কেবল একটিমাত্র নামে সম্পূর্ণ আস্থা রাখবেন না। তাতে ডাইভারসিফাই করতে পারবেন আরও যথাযথভাবে।
নিচের চার্ট দেখুন।
[আরও পড়ুন: বাজারের দুঃসময়ে ভরসা লার্জ ক্যাপেই, জেনে নিন বিস্তারিত]
একাধিক পোর্টফোলিও পরীক্ষা করে যে ‘কমন’ শেয়ারগুলোর হদিশ পেলাম (অর্থাৎ অনেকের কাছেই এগুলো গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে) সেগুলোর তালিকা প্রস্তুত করা হল। তবে কখনওই কোনও পক্ষপাত দেখানোর প্রশ্ন নেই বিশেষ কোনও স্টকের ক্ষেত্রে।
বিঃদ্র – প্রতিটি বৃহৎ সেক্টর থেকে তিনটি প্রধান স্টক খুঁজে নিলাম আমরা। নিজের লার্জ ক্যাপ অ্যাসেটের তালিকার কোনটিতে কোথায় জোর দেবেন, তা বলা কার্যত অসম্ভব। নিজের ব্রোকার তথা অন্য পরামর্শদাতার সঙ্গে কথা বলে ঠিক করুন।
সূচক- লার্জ (নিফটি ফিফটি)
প্রথম ৫টি স্টক/ওয়েটেজ
প্রথম ৫ সেক্টর : ইনডেক্সের মধ্যে কোন সেক্টর কোথায়?