অতিমারীর প্রকোপ কিছুটা খর্ব হওয়ায় স্বস্তির শ্বাস ফেলছে রিয়েল এস্টেট মার্কেটও। কিন্তু সম্পত্তির বাজারে এখন কোন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে? কী দেখে মনস্থির করবেন? হদিশ দিল টিম সঞ্চয়
করোনার প্রাদুর্ভাবে প্রপার্টি-জনিত আয় অনেকের জন্যই কমে গিয়েছিল তা তো সকলেই মানবেন। রিয়েল এস্টেট মার্কেট এখন কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া বেশ ক্ষীণ, তবে অর্থনীতির উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে এখানেও বাড়-বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে তাও ঠিক। এই সমস্ত নিয়ে আলোচনা করতে আমরা দ্বারস্থ হয়েছিলাম কিছু পরামর্শদাতার কাছে, যাঁরা বিশেষত রিয়েল এস্টেটের প্রাঙ্গণেই ক্লায়েন্টদের জন্য বিচরণ করেন। তাঁদের মতে, সম্পত্তির বাজার ফের চাঙ্গা হয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ এই উৎসবের মরসুমে ইতিবাচক ইঙ্গিত তাঁরা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন। ‘কিনব না ভাড়া নেব?’, এইটিই এখন দরকারি একটি প্রশ্ন, এক শ্রেণির লগ্নিকারী এর উত্তর খুঁজছেন।
[আরও পড়ুন: শেয়ার বাজার কাঁপিয়ে আত্মপ্রকাশ, ‘Nykaa’-র বাজারমূল্য পেরল ১ লক্ষ কোটি টাকা]
# কী দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন? যে শর্তগুলির উপর তা নির্ভর করছে, সেগুলির মধ্যে প্রধান–
l প্রপার্টির দাম
l রেন্টাল ইল্ড
l লোন নেওয়ার শর্ত
l মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা
l সুরক্ষা ও সেই সংক্রান্ত বিষয়
l চালানো বা মালিকানার জন্য করতে হবে যে সমস্ত খরচ, যথা ট্যাক্স
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন, তার সারাংশ আমরা নিচের এই ছবির মাধ্যমে তুলে ধরছি। এটি একটি গড়পড়তা মাপকাঠি, প্রত্যেকের জন্য যে সমানভাবে প্রযোজ্য হবে, তা নয়।
আরও দু’একটি প্রয়োজনীয় কথা। এক, যত শীঘ্র শুরু করুন, যদি অপেক্ষাকৃত অল্প বয়সে বিনিয়োগ করতে পারেন, তাহলে উপকৃত হবেন। দুই, হোম লোন যদি যথেষ্ট পরিমাণে লাইফ ইনসিওরেন্সের মাধ্যমে কভার করতে পারেন, তাহলে আরও ভাল। বিশেষত, যদি অন্তত ৬-৭ গুণ (বার্ষিক স্যালারি বা অন্য ইনকামের তুলনায়) বিমার কভারেজ নেন. তাহলে বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় উত্তীর্ণ হবেন বলে মনে করা হয়।