সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহিষ্কৃত বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, নূপুরের (Nupur Sharma) মন্তব্যের জন্যই দেশে হিংসাত্মক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, দেশে আগুন জ্বলছে। এমনকী উদয়পুরের (Udaipur Violence) নৃশংস ঘটনার নেপথ্যেও দায়ী নূপুর শর্মার উসকানিমূলক মন্তব্য। এর জন্য ক্ষমা চাইতেও দেরি করেছেন তিনি। তাঁর উচিত প্রকাশ্যে সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়া। এরপরই একটি নতুন পিটিশন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেই পিটিশনে বলা হয়েছে, বিচারপতি কান্ত নূপুরকে নিয়ে যে পর্যবেক্ষণ করেছেন, তা তাঁকে ফিরিয়ে নিতে হবে।
ঠিক কী দাবি পিটিশন দাখিলকারীদের? তাঁদের বক্তব্য, নূপুর এখনও অপরাধী সাব্যস্ত হননি। তাঁকে দায়ী করলে কি দেশে ঘৃণার রাজনীতি ও বৈষম্য কমবে? উল্লেখ্য, পয়গম্বরকে নিয়ে নূপুর শর্মার মন্তব্যের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। নানা প্রান্তে বিক্ষোভ, অবরোধ শুরু হয়। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের থানাগুলিতে এফআইআর দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আবেদন ছিল, সব মামলা এক জায়গায় স্থানান্তর করা হোক। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন। প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন বলেও জানান বিতর্কিত নেত্রী। কিন্তু সেই মামলাতেই তাঁকে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে। এবার তার বিরোধিতা করেও দায়ের হল পিটিশন।
[আরও পড়ুন: রবি ঠাকুর থেকে গান্ধীজি, আম্বেদকর, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশাধিকার পাননি এঁরাও]
এদিকে উদয়পুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরে এখনও থমথমে রাজস্থান। ১৩ জুলাই জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। এর মধ্যে জানা গিয়েছে, যে বাইকে করে অভিযুক্তরা পালাতে চেষ্টা করছিল, তার নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা ২৬১১। যা থেকে পরিষ্কার, ২৬/১১ হামলার কথা মাথায় রেখেই ওই নম্বরপ্লেট ব্যবহার করছিল আততায়ীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অন্যতম অভিযুক্ত রিয়াজ আখতারি ২০১৩ সালে ১ হাজার টাকা খরচ করে ওই নম্বর নিয়েছিল।
এদিকে শুক্রবারই আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মহসিন ও আরিফ নামের ওই দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় অংশ নেওয়ার। বাকি দুই অভিযুক্তের সঙ্গে তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।