সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়ম মেনে রবিবার ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম। এদিন সকালে কলকাতায় পেট্রলে (Petrol) লিটারপ্রতি ২৬ পয়সা এবং ডিজেলে লিটারপ্রতি ২৯ পয়সা দাম বেড়েছে। ফের ফলে প্রথমবার শহর কলকাতায় পেট্রলের দাম ৯৫ টাকা ছাড়াল। রেকর্ড গড়ে ডিজেলের দামও প্রায় ৮৯ টাকার কাছাকাছি। এই নিয়ে মে মাসের পরই পেট্রল এবং ডিজেলের (Diesel) দাম বাড়ল ২০ বার।
মুম্বইয়ের মতো মহানগরে পেট্রল অনেক আগেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। রবিবার তা পেরিয়ে গেল ১০১ টাকার গণ্ডিও। রবিবার বাণিজ্যনগরীতে পেট্রল বিকোচ্ছে ১০১ টাকা ২৫ পয়সা দরে। ডিজেল বিকোচ্ছে ৯৩ টাকা ১০ পয়সা লিটার দরে। শহর কলকাতায় (Kolkata) নয়া রেকর্ড গড়ে পেট্রলের দাম ৯৫ টাকা ২ পয়সা। ডিজেলের দাম ৮৮ টাকা ৮০ পয়সা। রাজধানী দিল্লিতে রবিবার পেট্রলের দাম ৯৫ টাকা ৩ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৮৫ টাকা ৯৫ পয়সা। চেন্নাইয়ে পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ৯৬ টাকা ৪৭ পয়সা প্রতি লিটার। ডিজেলের দাম ৯০ টাকা ৬৬ পয়সা লিটার। দেশের একাধিক শহরে ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি পেরিয়েছে পেট্রল।
[আরও পড়ুন: দিল্লি সরকারকে রেশন দিতে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্র, বিস্ফোরক অভিযোগ আপের]
একদিকে করোনায় (Coronavirus) মৃত্যুমিছিল। অন্যদিকে কাজ হারিয়ে পেটের টান। দেশের আমজনতা জখন অর্থনৈতিকভাবে খাদের কিনারে, তখনই জ্বালানির দাম বাড়ছে হু হু করে। অথচ, সরকার নির্বিকার। কেন্দ্রের তরফে শনিবার নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার জানিয়েছেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়া নিয়ে এধরনের দাবি ওঠে। কিন্তু কেন্দ্রকে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হয়। কেন্দ্রের দায়িত্ব মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। প্রশ্ন উঠছে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কি ভুলে গিয়েছে সরকার? আশ্চর্যজনকভাবে এসব নিয়ে বিরোধীরাও নির্বিকার। লাগাতার জ্বালানির দাম বাড়া সত্ত্বেও সেভাবে আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে না বিরোধী শিবিরকে।
[আরও পড়ুন: নজরে ২৪-এর লোকসভা, মমতার সঙ্গে দেখা করতে রাজ্যে আসছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত]
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের উপর আলাদা আলাদাভাবে শুল্ক বসায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি কেন্দ্রের বসানো অন্তঃশুল্ক ও কর। করোনার প্রথম ধাক্কা আসার পরপরই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের উপর অন্তঃশুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছিল। যা পরে আর কমানো হয়নি। বরং কিছু কিছু রাজ্য সরকার নিজেদের মতো পদক্ষেপ করেছে জ্বালানির দাম কমানোর জন্য। কিন্তু তাতে কাজের কাজ খুব একটা হয়নি।