সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন কেন্দ্র কর বাড়াচ্ছিল। এবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামও বাড়া শুরু করল। শনিবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। ভারতেও এদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হয়েছে পেট্রোপণ্যের দাম। এদিন পেট্রলে লিটারপ্রতি দাম বেড়েছে ২৫ পয়সা করে। ডিজেলে লিটারপ্রতি দাম বেড়েছে ৩০ পয়সা করে। এই নিয়ে চলতি সপ্তাহেই তিনবার দাম বাড়ল পেট্রোপণ্যের। পেট্রল-ডিজেলের এই দাম সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার কলকাতায় (Kolkata) লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২ টাকা ৭৭ পয়সা। আর ডিজেলের দাম লিটার পিছু ৯৩.২৭ পয়সা। রাজধানী দিল্লিতে (Delhi) এক লিটার পেট্রলের মূল্য ১০২ টাকা ১৪ পয়সা। পাশাপাশি ডিজেলের মূল্য লিটারপিছু ৯০.৪৭ টাকা। দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে (Mumbai) মহানগরগুলির মধ্যে সবার আগে ১০০ টাকা পেরিয়েছিল পেট্রলের মূল্য। বৃহস্পতিবার সেখানে এক লিটার পেট্রল বিকোচ্ছে ১০৮ টাকা ১৯ পয়সায়। এক লিটার ডিজেলের দাম ৯৮ টাকা ১৬ পয়সা। চেন্নাইয়ে লিটারপ্রতি পেট্রল বিকোচ্ছে ৯৯ টাকা ৮০ পয়সা দরে। ডিজেল বিকোচ্ছে ৯৫টাকা ২ পয়সা লিটার দরে।
[আরও পড়ুন: ভারতকে না জানিয়েই দোহায় তালিবানের সঙ্গে চুক্তি আমেরিকার, তোপ জয়শংকরের]
উল্লেখ্য, চলতি বছরের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই লাগাতার বাড়া শুরু করে পেট্রল ডিজেলের দাম। এই মুহূর্তে জ্বালানির দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ। কেন্দ্র দাবি করছে, করোনার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার জন্য ভারতের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে হচ্ছে। সেটা যেমন সত্যি, তেমনই এই মুহূর্তে পেট্রপণ্যের উপর সরকারি শুল্ক যে সর্বোচ্চ, সেটাই সত্যি।
[আরও পড়ুন: গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানালেন মোদি, শাস্ত্রীর সমাধিস্থলেও মাল্যদান প্রধানমন্ত্রীর]
পেট্রল-ডিজেলের মুল্যের প্রশ্নে কেন্দ্র এখন জিএসটি (GST) কাউন্সিলকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। নির্মলা সীতারমণরা (Nirmala Sitharaman) দাবি করছেন, পেট্রপণ্যের দাম কমাতে হলে জিএসটির আওতায় আনতে হবে। কিন্তু জিএসটি কাউন্সিল সেই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিচ্ছে না। কেন্দ্র পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনতে চাইলেও বিরোধীদের হাতে থাকা রাজ্যগুলি তাতে বাধা দিচ্ছে। যদিও, জিএসটি কাউন্সিলের সর্বশেষ বৈঠকে বিরোধীদের পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনতে বাধা দিয়েছে।