বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ভোট বড় বালাই। কর্ণাটক ও হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা ভোটে জোর ধাক্কা খেতেই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। দুই রাজ্যের বিপর্যয়ের কারণ পর্যালোচনায় উঠে এসেছে মানুষের মনে বিজেপির প্রতি অসন্তোষের বেশ কয়েকটি কারণ। তার মধ্যে অন্যতম পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি। ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। তাই নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তিন রাজ্যের ভোটের আগে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানায় দলের শীর্ষনেতৃত্ব।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি মন্ত্রকের তরফে তেল বিক্রয় সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে। তারপরেই পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমানোর বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মতো সংস্থাগুলি। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ের ভোটের স্বার্থে আগস্ট মাস থেকেই পেট্রল ও ডিজেলের দাম কমাতে চলেছে সংস্থাগুলি। লিটার প্রতি ৪-৫ টাকা দাম কমতে পারে। তবে মাত্র কয়েক টাকা দাম কমিয়ে আদৌ ভোটবাক্সে কোনও লাভ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান গেরুয়া শিবিরই। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছে দল। জানিয়েছেন এক শীর্ষনেতা।
[আরও পড়ুন: গলসিতে বিরল কাণ্ড, তৃণমূলের বিজয়োৎসবে শামিল মনোনয়ন প্রত্যাহার করা ২ সিপিএম প্রার্থী]
শুধুমাত্র মোদির মুখ ও হিন্দুত্বের হাওয়া তুলে আগামী চার রাজ্যের বিধানসভা বা লোকসভায় বাজিমাত করা যাবে না। সম্প্রতি দলের শীর্ষনেতৃত্বের বৈঠকে সংঘ পরিবারের তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। মানুষের মন জয় করতে গেলে তাঁদের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধানে দল ও সরকারের ভূমিকা প্রচার করতে হবে। সেইসঙ্গে মোদি সরকার দশ বছরের জনমোহিনী প্রকল্পের প্রচার সামনের সারিতে আনতে হবে। সংঘের তরফে সতর্কবার্তা আসতেই কেন্দ্রের সব মন্ত্রকের মন্ত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কথা বলেন। অমিত শাহ ফের বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে।
দলের তরফে বার্তা পেতেই নড়েচড়ে বসেছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। সূত্রের খবর, সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি পেট্রল ও ডিজেল বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দাম কমান নিয়ে কথা হয়। আপাতত ঠিক হয়েছে আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেলের লিটার পিছু ৪ থেকে ৫ টাকা কমান হবে। তারপর আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলে ধাপে ধাপে আরও কমান হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।