সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে করোনায় (Coronavirus) মৃত্যুমিছিল। অন্যদিকে কাজ হারিয়ে পেটের টান। দেশের আমজনতা জখন অর্থনৈতিকভাবে খাদের কিনারে, তখনই জ্বালানির দাম বাড়ছে হু হু করে। ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুটিনে পরিণত হয়েছে। মাঝখানে এক-দু’দিনের বিরতি থাকলেও প্রায় নিয়মিত বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পেট্রলের দাম বেড়েছে ২১-২৫ পয়সা করে। ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৮ থেকে ৩২ পয়সা করে। লাগাতার এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও।
মুম্বইয়ের মতো মহানগরে পেট্রলের দাম প্রায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। কলকাতা-সহ দেশের অন্য বড় শহরগুলিতেও রেকর্ড গড়ছে জ্বালানি। এসবের মধ্যেও বৃহস্পতিবার দাম বাড়িয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। মুম্বইয়ে বৃহস্পতিবার লিটারপ্রতি পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ৯৯টাকা ৯৪ পয়সা করে। ডিজেল লিটারপ্রতি বিকোচ্ছে ৯১টাকা ৮৭ পয়সা করে। কলকাতাতে বৃহস্পতিবার পেট্রলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ২৩ পয়সা। ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ৩০ পয়সা। শহর কলকাতায় (Kolkata) নয়া রেকর্ড গড়ে পেট্রলের দাম ৯৩ টাকা ৭২ পয়সা। ডিজেলের দাম ৮৭ টাকা ৪৬ পয়সা। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা ২৮ পয়সা প্রতি লিটার। ডিজেলের দাম ৮৯.৩৯ পয়সা লিটার। রাজধানী দিল্লিতে লক্ষ্মীবার পেট্রলের দাম ৯৩টাকা ৬৮ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ৮৪টাকা ৬১ পয়সা। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থানের একাধিক শহরে জ্বালানি তেল এখন বিকোচ্ছে ১০০ টাকার উপরে। খুব শীঘ্রই সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে মুম্বইয়ের নামও।
[আরও পড়ুন: অমানবিক, মাস্ক না পরায় যুবকের হাতে-পায়ে পেরেক পোঁতার অভিযোগ যোগীর পুলিশের বিরুদ্ধে!]
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের উপর আলাদা আলাদাভাবে শুল্ক বসায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি কেন্দ্রের বসানো অন্তঃশুল্ক ও কর। করোনার প্রথম ধাক্কা আসার পরপরই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের উপর অন্তঃশুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছিল। যা পরে আর কমানো হয়নি। বরং কিছু কিছু রাজ্য সরকার নিজেদের মতো পদক্ষেপ করেছে জ্বালানির দাম কমানোর জন্য। কিন্তু তাতে কাজের কাজ খুব একটা হয়নি। অথচ, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে সেভাবে সরব হতে দেখা যাচ্ছে না বিরোধীদেরও।