সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট মিটতেই শুরু হয়েছিল দাম বাড়ানোর বহর। যা এখন একপ্রকার রুটিনে পরিণত হয়েছে। মাঝখানে দিন দুয়েকের বিরতির পর শুক্রবার ফের বাড়ল পেট্রল (Petrol) এবং ডিজেলের দাম। যার জেরে দেশজুড়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্য। যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে খোলা বাজারে। বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। অথচ, ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের।
শুক্রবার লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম বেড়েছে ১৯ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়েছে ২৯ পয়সা। এই নিয়ে শুধু চলতি মাসেই পেট্রলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ২টাকা ৪৯ পয়সা। আর ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়েছে ২ টাকা ৮৯ পয়সা। মুম্বইয়ের মতো মহানগরে পেট্রলের দাম প্রায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। কলকাতা-সহ দেশের অন্য বড় শহরগুলিতেও রেকর্ড গড়ছে জ্বালানি। শুক্রবার মুম্বইয়ে পেট্রল বিকোচ্ছে ৯৯ টাকা ৩২ পয়সা প্রতি লিটার দরে। ডিজেল বিকোচ্ছে ৯১ টাকা ১ পয়সা দরে। দিল্লিতে পেট্রলের নতুন দাম হয়েছে ৯৩টাকা ৪ পয়সা। ডিজেল (Diesel) বিকোচ্ছে লিটারপ্রতি ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা দরে। চেন্নাইয়ে পেট্রল ও ডিজেলের নতুন দাম যথাক্রমে ৯৪ টাকা ৭১ পয়সা এবং ৮৮টাকা ৬২ পয়সা। শহর কলকাতায় (Kolkata) নয়া রেকর্ড গড়ে পেট্রলের দাম ৯৩ টাকা ১১ পয়সা। ডিজেলের দাম ৮৬ টাকা ৬৪ পয়সা।
[আরও পড়ুন: ফের ভেঙে পড়ল বায়ুসেনার মিগ-২১ যুদ্ধবিমান, মৃত্যু পাইলটের]
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের উপর আলাদা আলাদাভাবে শুল্ক বসায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই বেশি কেন্দ্রের বসানো অন্তঃশুল্ক ও কর। করোনার প্রথম ধাক্কা আসার পরপরই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের উপর অন্তঃশুল্ক অনেকটা বাড়িয়েছিল। যা পরে আর কমানো হয়নি। বরং কিছু কিছু রাজ্য সরকার নিজেদের মতো পদক্ষেপ করেছে জ্বালানির দাম কমানোর জন্য। কিন্তু তাতে কাজের কাজ খুব একটা হয়নি। অথচ, জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে সেভাবে সরব হতে দেখা যাচ্ছে না বিরোধীদেরও।