সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে আতঙ্কের আরও এক নাম হয়েছে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। সময়ের সঙ্গে রূপ পালটে আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে আণুবীক্ষণিক জীবটি। এহেন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ (Lancet) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার পুরনো স্ট্রেনের সঙ্গে তুলনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে পাঁচ গুণ কম অ্যান্টিবডি তৈরি করছে ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন।
[আরও পড়ুন: ৫৮ দিনে সর্বনিম্ন দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার]
উদ্বেগ বাড়িয়ে এক প্রতিবেদনে ল্যানসেট দাবি করেছে, বয়স্কদের শরীরে ফাইজারের তৈরি অ্যান্টিবডির করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্ষমতা কম। এবং সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও কমে যায়। ফলে বুস্টার বা অতিরিক্ত ডোজ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা বাড়াতে গবেষকদের একাংশের পরামর্শ- ফাইজারের দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনার দাবিও করা হয়েছে গবেষণাপত্রে। বলে রাখা ভাল, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা বিশ্বে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেল্টা-ই স্ট্রেন। ভারতে মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায় এমন ভয়াবহ হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে এই স্ট্রেনই বলে দাবি গবেষকদের। B.1.617 স্ট্রেনটির হদিশ প্রথমে ভারতে মেলায় এটিকে ভারতীয় স্ট্রেনই বলা হচ্ছিল এত দিন। কিন্তু তা নিয়ে নয়াদিল্লির প্রবল আপত্তির জেরে সম্প্রতি এটিকে ডেল্টা নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO )। মারাত্মক সংক্রামক এই স্ট্রেন নাকি ইতিমধ্যেই ৫৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনার প্রাথমিক ঢেউ অনেকটাই সামলে উঠেছিল ভারত। কিন্তু দেশে পরিস্থিতি জটিল করে তোলে B.1.617 স্ট্রেনটি। আর তারপরই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এই ভ্যারিয়েন্ট। এই প্রসঙ্গে গত মে মাসে মোদি সরকারকে একহাত নেয় ;ল্যানসেট। পত্রিকাটির সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মোদি সরকার যেভাবে কোভিড পরিস্থিতিকে খাটো করে দেখেছে তাতেই ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এইভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে পেরেছে। ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তে সরাসরি মোদি সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ ভারত নিজেই ডেকে এনেছে।