অর্ণব আইচ: ফুলবাগান হত্যাকাণ্ডের পরতে পরতে লুকিয়ে রহস্য। জানা গিয়েছে, শুধু ডির্ভোসের মামলাই নয়, সোমবারের বচসার নেপথ্যে ছিল সম্পত্তিও। কিন্তু ঠিক চেয়েছিল অমিত? কেনই বা মামলা চলাকালীন স্ত্রীকে খুন? সেই রহস্য এখনও অজানা পুলিশের। সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতেই মৃত অমিতের সন্তানের সন্ধানের হদিশ মিলেছে।
ফুলবাগান কাণ্ডের তদন্তে নেমে প্রথমেই মৃত অমিত-শিল্পীর সন্তানের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। একাধিক জায়গায় হদিশ না মেলায় শেষে উত্তরপাড়ায় (Uttarpara) অমিতের দাদার বাড়িতে হানান দেয় তদন্তকারীরা। সেখানেই মেলে খুদে। এরপরই জানা যায় যে, সোমবার স্ত্রীকে খুনের পর বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা (Kolkata) ফিরে প্রথমে উত্তরপাড়া গিয়েছিল অমিত। ছেলেকে সেখানে দাদার কাছে রেখে শ্বশুরবাড়ি আসে সে। সেখানে যাওয়ার পথে জোগাড় করে আগ্নেয়াস্ত্র। এরপরই ডিভোর্সের মামলা ও সম্পত্তি নিয়ে শ্বশুর ও শাশুড়ির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে অমিত।
রাগের বশে শাশুড়িকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অমিত। আত্মহত্যা করে নিজেও। তার পকেট থেকে মেলা সুইসাউড নোটের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে আসে স্ত্রীকে খুনের তথ্য। এখানেই প্রশ্ন কেন স্ত্রীকে খুন? ছেলেকে রেখে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে কেন আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেছিল অমিত? সুইসাইড নোট ছিল পকেটে, যা থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে, আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েই সেখানে গিয়েছিল অমিত। তবে কি মুহূর্তের রাগ নয়, তিনটি মৃত্যুই সম্পূর্ণ পরিকল্পনামাফিক? কিন্তু কেন? স্ত্রীর সঙ্গে কেন বনিবনা হচ্ছিল না অমিতের? আদৌ ডির্ভোস দিতে রাজি ছিল কি অমিত? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: রিজেন্ট পার্ক হত্যাকাণ্ড থেকে ‘শিক্ষা’, অস্ত্র তৈরির ভিডিও বন্ধে ইউটিউবকে চিঠি পাঠাবে পুলিশ]
মৃতের শ্বশুরের বয়ান অনুযায়ী, ডির্ভোসের মামলা চলাকালীনই স্ত্রী শিল্পীর বাপের বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি করছিল অমিত। কিন্তু ঠিক কী দাবি ছিল অমিতের? সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত দম্পতির সন্তানকে আপাতত পুলিশের তরফে হোমে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন:বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন, কলকাতায় শাশুড়িকে হত্যা, ফুলবাগানকাণ্ডে চোখ কপালে পুলিশের]
The post ছেলেকে দাদার কাছে রেখে অস্ত্র কিনে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিল ‘খুনি’! ফুলবাগানকাণ্ডে নয়া তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.