সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিভে আসে শরীরের আগুন। সম্পর্কের মধ্যে বন্ধুত্বই তখন প্রধান ভূমিকা পালন করে। এমনটাই সাধারণ ভাবে মনে করা হয়। কিন্তু যৌন বিশেষজ্ঞরা তা মনে করছেন না। বরং তাঁদের দাবি, বয়স যত বাড়ে তত জমাটি হয় শরীরী ঘনিষ্ঠতা (Physical intimacy)। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা থেকেই এমন দাবি তাঁদের।
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এক ওয়েব সিরিজে নীনা গুপ্তা অভিনীত এক চরিত্রের মুখে শোনা গিয়েছিল এই ধরনের কথাই। আজীবন দাম্পত্য অটুট রাখতে নাকি বিছানার বোঝাপড়া সবার আগে। যদিও সমাজের প্রচলিত ধারণা এর ঠিক উলটো পথে হাঁটে। মনে করা হয়, প্রৌঢ়ত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে নাতিনাতনির সঙ্গে সময় কাটানো, কাছেপিঠে ঘুরতে যাওয়া কিংবা বই পড়ার মতো কাজ করলেই মন ভাল থাকে। যৌনতা ব্যাপারটাই যেন যৌবনের। বার্ধক্যে তার কোনও অধিকার নেই। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে একেবারে বিপরীত ছবির কথা বলা হয়েছে। যা উঠে এসেছে সমীক্ষায়।
[আরও পড়ুন: মহিলা আরোহীকে পিছনের সিটে বসিয়েই হস্তমৈথুন Rapido চালকের! নেটদুনিয়ায় নিন্দার ঝড়]
৪৫ বা তার বেশি বয়সিদের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, আগামী ১০ বছর বা তার পরবর্তী সময়ে তাঁরা তাঁদের যৌন জীবনকে কীভাবে দেখতে চান। শয়ে শয়ে নারী-পুরুষ সমীক্ষায় অংশ নেন। এক দশক পেরিয়ে যাওয়ার পরে ফের তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সেই প্রত্যাশা কতটা পূরণ হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, পজিটিভ মনের বহু দম্পতির জীবনেই কিন্তু যৌনতা পুরোমাত্রায় বহাল রয়েছে এখনও। দেখা গিয়েছে, বেশ ঘনঘনই তাঁরা শরীরী খেলায় মাতছেন এবং বেশ সুন্দর জীবন কাটাচ্ছেন।
এপ্রসঙ্গে নাটাইল উইলটন নামের এক সেক্স থেরাপিস্ট বলছেন, এতে চমকের কিছু নেই। তাঁর কথায়, ”সমাজবদ্ধ প্রাণী হিসেবে আমাদের নানা ফাঁদ ও স্টিরিওটাইপের শিকার হতে হয়। আর সেই কারণেই বর্ষীয়ান যুগলরা যৌনতার বিষয়ে নেতিবাচক ভাবতে বাধ্য হন। কোনও বয়স্ক দম্পতি হাতে হাত রাখলে আমরা বলি, কী সুন্দর! কিন্তু তাঁরা ঘনিষ্ঠ হলেই নোংরামি বলে দেগে দিতে চাই।” তাঁর সোজা কথা, ”যদি শরীর দেয়, এখনও একই ভাবে যৌনতায় আনন্দ পান, তাহলে তা থেকে দূরে থাকবেন কেন?”