সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীর অনুমতি নেই। তবুও তাঁকে যৌন মিলনে বাধ্য করলেন স্বামী। এহেন পরিস্থিতিতে স্বামীর বিরুদ্ধে আনা যাবে না ধর্ষণের অভিযোগ। এমনটাই জানাল গুজরাট হাই কোর্ট। সোমবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনটাই রায় দেয় আদালত। তবে আদালত স্পষ্ট করে দেয় ১৮ বছরের কম বয়সী কোনও বিবাহিত নাবালিকার সঙ্গে সঙ্গম ধর্ষণ হিসেবেই গণ্য করা হবে।
[খেতে চেয়ে কান্না, অত্যাচার করে দুই শিশুকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিল সৎ মা]
বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার দাবি বহুদিনের। এনিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এর প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট জানায় বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয়। এবার ফের গুজরাট হাই কোর্টে ধক্কা খেল সেই দাবি। এদিন মাননীয় বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা জানান, বৈবাহিক ধর্ষণ আইপিসি-র ৩৭৫ ধারার আওতায় পড়ে না। সেক্ষেত্রে ধর্ষণের জন্য প্রযোজ্য ওই ধারায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। এদিন বৈবাহিক ধর্ষণের মতো ঘটনা রুখতে কোনও উপযুক্ত আইন না থাকার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাননীয় বিচারপতি। এই সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
এদিন বিশ্বের অন্যান্য দেশের বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনের উদাহরণ টেনে আনেন বিচারপতি পারদিওয়ালা। বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ ঘোষণা করার জন্য আইন আনার নির্দেশও দেন তিনি। তাঁর মতে, আইনের অপব্যবহার হতে পারে এমন আশঙ্কা র জন্য মহিলাদের অধিকার খর্ব করা চলে না। উল্লেখ্য, দু’জন নারী-পুরুষের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্কে যৌন মিলন হলে তা ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে না। সদ্য এমনটাই রায় দেয় বম্বে হাই কোর্টের গোয়া বেঞ্চ। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে, এবং পরে বিয়েতে অরাজি হলেই তাকে ধর্ষণ বলা যায় না। সব মিলিয়ে ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনে নানা জটিলতা রয়েছে। ফলে আইনের ফাঁক গলে অনেক ক্ষেত্রেই পার পেয়ে যায় অপরাধীরা। বিশেষ করে বৈবাহিক ধর্ষণের মতো ঘটনা আদৌ অপরাধ বলেই গণ্য হয় না বর্তমান আইনে।
[ইকো পার্কে দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে আঘাত, এখনও ভেন্টিলেশনে আহত রিয়ান]
The post স্ত্রীর অনিচ্ছায় যৌন সংসর্গ ধর্ষণ নয়, রায় গুজরাট হাই কোর্টের appeared first on Sangbad Pratidin.