গোবিন্দ রায়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) পরামর্শমতো রাজ্যের প্রত্যেকটি সরকারি স্কুলে বেড়েছে গ্রীষ্মের ছুটি। স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটির মেয়াদ নিয়ে এবার কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
দিনকয়েক আগে বাংলার একাধিক জেলার তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। মূলত পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার সতর্কতাও জারি করে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। গরম থেকে বাঁচতে খুব প্রয়োজন ছাড়া সকাল ১১টা থেকে বেলা ৪টে পর্যন্ত বাড়ি থেকে না বেরনোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তীব্র দাবদাহের সময় স্কুলে যাওয়াও যেন দায় হয়ে যায় কচিকাঁচাদের। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ২ মে থেকে রাজ্যের প্রত্যেকটি সরকারি স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটির কথা জানান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ফলে টানা ৪৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি পাচ্ছে পড়ুয়ারা। গ্রীষ্মের ছুটির মেয়াদ নিয়েই এবার উঠল প্রশ্ন। কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিএনপি-র ইফতার পার্টির নৈশভোজে গোমাংস, ক্ষোভের মুখে ভুল স্বীকার খালেদার দলের]
গ্রীষ্মের ছুটির (Summer Vacation) মেয়াদ নিয়েই এবার উঠল প্রশ্ন। কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। মামলাকারীর দাবি, করোনাকালে একেই দু’বছর বন্ধ ছিল স্কুল। তার ফলে পড়ুয়াদের পড়াশোনার যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। এবার একটানা ৪৫ দিন গ্রীষ্মের ছুটি থাকলে পড়ুয়াদের আরও ক্ষতি হবে। তাই অবিলম্বে ছুটির মেয়াদ নিয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন মামলাকারী।
স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি নিয়ে কেরল সরকারের সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেছে মামলাকারী। কারণ, কেরলে পড়ুয়াদের স্বার্থে গ্রীষ্মের ছুটি ১০ দিন কমিয়ে দেওয়া হয়। সে রাজ্যের অনুকরণেই বাংলাতেও গ্রীষ্মের ছুটি কমিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি।