শুভঙ্কর বসু: এবারের দীপাবলিতে ‘বাজি’কে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হোক! উৎপাদন, বন্টন থেকে বিক্রি। গোটা প্রক্রিয়ায় জারি হোক নিষেধাজ্ঞা। এমনই দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত। একই সঙ্গে রাজ্যে বাজি বিক্রি ও পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারির দাবিতে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। আবার কালী, জগদ্ধাত্রী ও ছট পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের আরজি জানিয়েও মামলা হয়েছে।
মহামারী পরিস্থিতিতে আতশবাজির ধোঁয়া কতটা মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে তা নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই একজোট হয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই সতর্কবার্তার কথা উল্লেখ করে সোমবার হাইকোর্টে যে মামলাটি দায়ের হয়েছে তাতেও দাবি করা হয়েছে, বাজি পোড়ানো বন্ধ না করা গেলে ভয়ঙ্কর রূপ নেবে কোভিড। ফলে সমস্ত ধরনের বাজির উৎপাদন ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক আদালত।
[আরও পড়ুন : পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর বাড়িতে কৈলাস-মুকুল, সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি বিজেপির]
যদিও সার্বিকভাবে বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে বছর দুয়েক আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শীর্ষ আদালত। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেছেন, বাজি পোড়ানোর সুপ্রিম কোর্ট একাধিক নির্দেশিকা জারি করলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় তা অমান্য করা হয়েছে। কিন্তু এই চরম পরিস্থিতিতেও গোটা দেশে যদি বাজি উৎপাদন, পরিবহণ, বন্টন ও কেনাবেচায় কেন্দ্রীয় সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে এই মারণ ভাইরাস আগ্নেয়গিরির চেহারা নেবে।
অন্যদিকে, আগামী উৎসবগুলি অর্থাৎ কালীপুজো, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোতে ভিড় ঠেকানো ব্যবস্থা করতেও হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। মামলাকারী অজয় কুমার দে আবেদন জানিয়েছেন, কলকাতার দুর্গাপুজোর মতোই একই রকমভাবে জনপ্রিয় চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী কিংবা বারাসাত, নৈহাটি, জলপাইগুড়ির কালীপুজো। পাশাপাশি এ রাজ্যে ছট পূজার প্রচলন রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ছট পুজোতেও থিক থিকে ভিড় চোখে পড়ে। সেক্ষেত্রেও সংক্রমণ ছড়ানোর প্রভূত আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। ফলে দুর্গাপূজার মত এই উৎসব গুলিতেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হোক।
[আরও পড়ুন : মিসড কলেই মিলবে ট্যাক্সি, দমদম বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য নয়া ভাবনা বিধাননগর কমিশনারেটের]
তাঁর আরজি, ছট পুজোর ভিড় এড়াতে কলকাতা ও রাজ্যে যত ঘাট ও জলাশয় রয়েছে সবগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হোক। নজরদারির জন্য প্রতিটি জায়গায় সিসি ক্যামেরা রাখা হোক। এছাড়াও কালি, জগদ্ধাত্রী ও কার্তিক পুজোয় সমস্ত মন্ডপ কে কোয়ারেন্টাইন জোন হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তেমনটা না হলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।