সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঢাকার মসনদ থেকে শেখ হাসিনার বিদায়ের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে। এর জেরে আগামী বর্ষায় পদ্মার ইলিশের ভাগ পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় গঙ্গাপাড়ের বাঙালি। তার মধ্যেই অন্য খারাপ খবর শোনাল মুহাম্মদ ইউনুসের মৎস্য দপ্তর। তাদের হিসাব অনুযায়ী, সেদেশে বিপজ্জনক হারে কমছে ইলিশের উৎপাদন। গত সাত বছরে সবচেয়ে কম ইলিশ উঠেছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি স্টার’-এর প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। পদ্মা, বুড়ি গঙ্গার মতো বাংলাদেশের নদীগুলিতে কেন কমছে রুপোলি শস্যের উৎপাদন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

বরিশালের বিভাগীয় মৎস্য দপ্তর জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৫.২৯ লক্ষ টন ইলিশ পাওয়া গিয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪২ হাজার টন কম। এই ঘটনায় চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইলিশ কমার নেপথ্যে রয়েছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, সরকারি নিষেধ অমান্য করে অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং নাব্যতা সংক্রান্ত সমস্যা। যদিও তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ইলিশের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে। ২০১৮-১৯ সালে ৫.৩২ লক্ষ টন ইলিশ মিলেছিল সে দেশে। ধাপে ধাপে বাড়তে বাড়তে ২০২২-২৩ সালে তা পৌঁছায় ৫.৭১ লক্ষ টনে।
ইলিশের ভাড়ারে টান পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন চাঁদপুরে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণাকেন্দ্রের আধিকারিক মহম্মদ আবু কওসর দিদার। তাঁর বক্তব্য, নদীপথগুলির কিছু জায়গায় নাব্যতা দুই বা তিন মিটারে নেমে এসেছে। ইলিশ সাধারণত পাঁচ মিটারের বেশি গভীর জল পছন্দ করে। অতএব, ইলিশ উৎপাদন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ নাব্যতা কমে যাওয়া। পাশাপাশি সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জেলেদের অতিরিক্ত মাছ ধরাকেও দায়ী করেছেন তিনি। তবে যে কারণেই রুপোলী শস্য কমুক বাংলাদেশে, তা নিয়ে শঙ্কিত এপারের খাদ্য রসিক বাঙালিরা। সামনেই যে ভরা ইলিশের মরসুম। প্রশ্ন উঠছে, পাতে পড়বে তো বচ্ছরকার পদ্মার ইলিশ?