সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামপুরহাটের বগটুই (Bagtui) কাণ্ডের জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টেও। সর্বোচ্চ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন হিন্দু সেনার সভাপতি। এর আগে কলকাতা হাই কোর্টেও জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলাটিতে শুক্রবার রায় দেবে আদালত।
হিন্দু সেনার (Hindu Sena) তরফে পিটিশন দায়ের করে জানানো হয়, “এই ঘটনার পর বোঝাই যাচ্ছে বাংলার মানুষের মৌলিক অধিকার বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই বগটুই কাণ্ডে হস্তক্ষেপ করুক সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সর্বোচ্চ আদালত এই ঘটনার তদন্তে একটি SIT গঠন করুক। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে সিট গঠন করা হোক। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট।”
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই পুলিশি অভিযান, সালানপুরে বেআইনি কারখানায় উদ্ধার অস্ত্র, মেশিন]
গত সোমবার রাতে বোমা হামলায় বগটুই গ্রামে রামপুরহাটের এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। তারপর ওই এলাকার কমপক্ষে ১০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাতে শিশু ও মহিলা-সহ কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত ঝড় বয়ে যায়। সকলেই এই ঘটনার সমালোচনায় সরব হয়। বগটুই কাণ্ডের তদন্তে আগেই SIT গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কে বা কারা ওই বাড়িগুলিতে আগুন লাগল, কেনই বা এই কাণ্ড ঘটল – তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার খোদ ওই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ঘর মেরামতির জন্য ২ লক্ষ এবং ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করে রাজ্য সরকার। এছাড়াও নিহতদের পরিবারের মোট ১০ জনকে একটি করে চাকরি দেওয়া হয়।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই গ্রেপ্তার হয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। তারাপীঠ থেকে গতকাল দুপুরেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। শুক্রবার আদালতে তোলা হবে তাকে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড আইসি। এসডিপিও সায়ন আহমেদকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) একটি স্বতঃপ্রণোদিত এবং বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি শেষ হয়। শুক্রবার রায়দান করবে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।