সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুশিবিরে আগুন ঝরাতে তৈরি ভারতের অত্যাধুনিক পিনাক গাইডেড রকেট। বৃহস্পতিবার ওড়িশা উপকূলে এই মারণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয় বলে প্রতিরক্ষা মহল সূত্রে খবর।
মাল্টি-ব্যারেল পিনাক রকেট লঞ্চার সিস্টেমটি ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা DRDO’র তৈরি। এর দু’টি সংস্করণ হচ্ছে মার্ক-১ ও মার্ক-২। DRDO-সূত্রে খবর, প্রথম সংস্করণটি ৪০ কিলোমিটার ও দ্বিতীয়টি ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। টেটরা ট্রাকে বসানো এই সিস্টেমটি ৪৪ সেকেন্ডে নির্দিষ্ট নিশানায় একসঙ্গে ১২টি রকেট ছুঁড়তে পারে। অত্যাধুনিক রাডার ও কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত দিশাসূচক যন্ত্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নিশানায় প্রবল বেগে আছড়ে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। সংস্থাটির এক শীর্ষই আধিকারিক জানিয়েছেন, এর আগে মার্চ মাসে রাজস্থানের পোখরানের টেস্ট রেঞ্জে সফল পরীক্ষা হয় অস্ত্রটির। এদিনের উৎক্ষেপণও সফল হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যেই আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে পিনাক। উল্লেখ্য, সদ্য পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখায় পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেনপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এহেন পরিস্থিতিতে পিনাকের উৎক্ষেপণ পরোক্ষে ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
[আরও পড়ুন: নিজের স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে চাপ বসের! অবসাদে আত্মঘাতী অধস্তন কর্মচারী]
এর আগে, গত মঙ্গলবার মঙ্গলবার অত্যাধুনিক সুপারসোনিক ব্রহ্মস মিসাইলের দু’টি ভিন্ন সংস্করণের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই মিসাইলগুলির ফলে চিন ও পাকিস্তানকে এক সঙ্গে টেক্কা দিতে পারবে সেনা। অত্যাধুনিক SU-30 MKI বা সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে একটি ব্রহ্মস মিসাইল ছোঁড়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে মিসাইলটি নিয়ে পাড়ি দেয় সুখোই বিমানটি। তারপর ওড়িশা উপকূলের কাছে সমুদ্রের উপর মাঝ আকাশে নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে ছোঁড়া হয় মিসাইলটি। ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যে নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম হয় । নয়া নজির গড়ে বিশ্বে এই প্রথম যুদ্ধবিমান থেকে ‘ট্রাইসনিক ক্লাস’ মিসাইল ছুঁড়ল ভারতীয় বাযুসেনা। ২.৫ টন ওজনের এই মিসাইলটি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম।
The post ব্রহ্মস-এর পর এবার শত্রুশিবিরে কাঁপন ধরাবে ঘাতক ‘পিনাক’ appeared first on Sangbad Pratidin.