সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Corona Pandemic) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল গোটা ভারত (India)। সংক্রমণ নিম্নগামী হলেও মৃত্যুমিছিল জারি। তবে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য করোনাবিধিতে শিথিলতা আনলেও এব্যাপারে কড়া অবস্থান নিয়েছে গোয়া প্রশাসন। যতদিন না রাজ্যের প্রত্যেক নাগরিক করোনার প্রথম ডোজ নিচ্ছেন, ততদিন রাজ্যের সীমানা পর্যটকদের জন্য বন্ধই থাকবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন গোয়ার (Goa) মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। আর এই টিকাকরণ শেষ করতে ৩০ জুলাইয়ের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে গোয়া সরকারের পক্ষ থেকে। অর্থাৎ এর মাঝে ভুল করেও গোয়া যাওয়ার পরিকল্পনা করা উচিত হবে না।
গত এপ্রিল-মে মাস থেকেই গোটা দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু হয়। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে সংক্রমণের পরিমাণ। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই পর্যটন স্থান গোয়াতেও করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয় পশ্চিমের এই রাজ্যেও। বর্তমানে অবশ্য পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই উন্নত হয়েছে। তবে এখনই পর্যটকদের জন্য দরজা খুলছে না গোয়ার।
[আরও পড়ুন: আম্বানির বাড়ির সামনে বোমা রাখার মামলায় গ্রেপ্তার এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট প্রদীপ শর্মা]
এদিন একটি সাংবাদিক সম্মেলনে প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান, “করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ সম্পন্ন না হলে গোয়ায় পর্যটন ক্ষেত্রগুলি খোলা হবে না। আমাদের লক্ষ্য আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যের প্রত্যেক মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া।” ৩০ জুলাইয়ের পরই পর্যটকদের জন্য গোয়া খুলে দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সম্প্রতি পর্যটন শিল্পের যুক্ত অনেকেই গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সংক্রমণ রুখতে গোয়ায় অনুষ্ঠিত বড় বড় ইভেন্টের (হুনার হাট, সানবার্ন) উপর আগামী বছর মার্চ মাস পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারির আরজি জানিয়েছিলেন তারা। প্রসঙ্গত, গোয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২৯৬০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।