সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী শুক্রবার একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করতে বেঙ্গালুরু আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। কিন্তু তিনি কর্ণাটকে (Karnataka) আসার আগেই শুরু বিতর্ক। আসলে সব সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ ছিল, শুক্রবার মোদির অনুষ্ঠানে ভিড় বাড়াতে পড়ুয়া পাঠানোর। সেই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে শুরু হওয়া বিতর্কের জেরে শেষ পর্যন্ত পিছু হটল প্রশাসন। মঙ্গলবার রাতে ফিরিয়ে নেওয়া হল নির্দেশ।
কর্ণাটকের প্রি ইউনিভার্সিটি শিক্ষা দপ্তর তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বেঙ্গালুরুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমস্ত সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে জানিয়েছিল, তাদের সংস্থার পড়ুয়াদের প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পাঠানোর জন্য। জানা গিয়েছে, শিক্ষা দপ্তরের পরিকল্পনা ছিল সাড়ে ৬ হাজার কলেজ পড়ুয়াকে মোদির সভায় হাজির করার।
[আরও পড়ুন: ‘শিক্ষা কোনও ব্যবসা নয়, টিউশন ফি রাখতে হবে সাধ্যের মধ্যে’, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের]
এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। বিরোধীদের প্রশ্ন, কেন সরকার পড়ুয়াদের বিব্রত করছে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে। তাদের অভিযোগ, এভাবে পড়ুয়াদের ভিড়ের জনতা হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কংগ্রেসের এক মুখপাত্র নাগরাজ যাদব জানিয়েছেন, ”কর্ণাটকের এক নাগরিক হিসেবে আমি ওঁকে (মোদিকে) স্বাগত জানাই। কিন্তু পড়ুয়াদের পড়াশোনাতেই মন দেওয়া উচিত। সরকারি অনুষ্ঠানে কিংবা মিছিলে নয়। এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের এই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করাটা অন্যায়। এই সব করতে থাকলে ওরা পড়বে কখন?”
উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর বেঙ্গালুরু (Bengaluru) আসবেন প্রধানমন্ত্রী। চারটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। যার মধ্যে অন্যতম চেন্নাই-বেঙ্গালুরু-মাইসুরুর মধ্যে বন্দে ভারত ট্রেন পরিষেবা শুরু করা। এছাড়াও তিনি কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টানেল উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি নাদাপ্রভু কেম্পেগৌড়ার ১০৮ ফুট দীর্ঘ স্ট্যাচুটিরও আবরণ উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বিমানবন্দরের কাছে একটি জনসভায় ভাষণও দেবেন মোদি।