shono
Advertisement

বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ? দ্বিধাবিভক্ত হাই কোর্টের বিচারপতিরা, সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলা

শীর্ষ আদালতে মামলা করলেন দিল্লি হাই কোর্টের মামলাকারী।
Posted: 12:04 PM May 17, 2022Updated: 12:16 PM May 17, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) কি অপরাধ? উত্তর মেলেনি দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court)। দিল্লি হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি রাজীব শকধের ও সি হরিশংকর আলাদা মত দিয়েছিলেন। তবে আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করতে পারেন বলেও সেই সময় জানিয়েছেন দুই বিচারপতি। সেই মতোই এবার হাই কোর্টের দ্বিধাবিভক্ত রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হল।

Advertisement

শীর্ষ আদালতে মামলা করেছেন খুশবু সফি। যিনি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার ব্যতিক্রমী ২-এর বৈধতার জন্য আবেদন করেছিলেন দিল্লি হাই কোর্টেও। এই ধারার বলে স্ত্রীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে স্বামী যৌন সম্পর্ক করলেও তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায় না। এই বিষয়েই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রাজীব শকধের (Rajiv Shakdher) যে মত দিয়েছিলেন, তা মানতে চাননি ডিভিশন বেঞ্চের অন্য বিচারপতি সি হরিশংকর (C Harishanker)। তিনি জানান, ধর্ষণ আইনের ব্যতিক্রমী ধারাটি সংবিধানের পরিপন্থী নয় কোনওভাবেই। কারণ, স্বামী-স্ত্রীর মতপার্থক্যের কারণেই একমাত্র এই ধরনের অভিযোগ ওঠে। যাকে অপরাধ বলে গণ্য করা ঠিক নয়।

[আরও পড়ুন: ফের বিপাকে চিদম্বরমপুত্র কার্তি, আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে নয়া মামলা দায়ের করল CBI]

বিচারপতি সি হরিশংকর (C Harishanker) বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে গণ্য করতে রাজি না হলেও ভিন্ন মত জানান বিচারপতি রাজীব শকধের (Rajiv Shakdher)। এই বিষয়ে রীতিমতো কড়া মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, যৌনতার বিষয়ে একজন যৌন কর্মীরও ‘না’ বলার অধিকার রয়েছে, কিন্তু একজন স্ত্রী তা পারেন না। শকধের বলেন, “আইনের শক্তির কারণেই একজন যৌনকর্মীরও ‘না’ বলার অধিকার রয়েছে, কিন্তু একজন বিবাহিত মহিলা তা পারেন না।” বিচারপতি শকধের যোগ করেন, “গণধর্ষণের ঘটনায় যদি স্বামী যুক্ত থাকেন, তবে বাকিরা ধর্ষণের অপরাধে আইনত শাস্তি পাবেন বটে, কিন্তু স্বামী অভিযুক্ত হবেন না। কেন? যেহেতু তিনি নির্যাতিতার স্বামী।”

[আরও পড়ুন: একদিনে দেশে কোভিড পজিটিভ দেড় হাজারের সামান্য বেশি, দাম কমল কর্বেভ্যাক্সের]

উল্লেখ্য, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের প্রসঙ্গ টানা যায় কিনা তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে দেশে। অনেকের মতে বিষয়টি পশ্চিমী সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই বিষয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট কেন্দ্রের অবস্থান জানাতে চেয়েছিল। যদিও কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত তাদের মত দেয়নি।  কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, এই বিষয়ে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। তারপর তারা তাদের বক্তব্য জানাবে। এখন দেখার, বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী মত দেয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement