সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনমুখী গুজরাটে (Gujarat) সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় আবেগে ভেঙে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল (Virtual) আলাপচারিতায় এক দৃষ্টিহীন ব্যক্তি ও তাঁর মেয়ের কঠিন লড়াইয়ের কথা শুনে আবেগ সামলাতে পারলেন না মোদি। গলা বুজে এল তাঁর। বেশ কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। পরে ফের কথাবার্তা শুরু করেন।
এদিন গুজরাটে ভার্চুয়াল ‘উৎকর্ষ সমারোহ’-এ (Utkarsh Samaroh) অংশ নেন মোদি। এই সময় দৃষ্টিহীন আয়ুব প্যাটেল ও তাঁর মেয়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। আয়ুব জানান, তাঁর তিন মেয়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, তাঁরা কি পড়াশোনা করছে? উত্তরে আয়ুব জানান, তিন জনই স্কুলে পড়ে। এমনকী দু’জন পড়াশোনার জন্য সরকারি ভাতাও পায়। ওই ব্যক্তি আরও জানান, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী বড় মেয়ে ডাক্তার হতে চায়। মোদি এরপর সরাসরি ওই ছাত্রীর কাছে জানতে চান, সে ডাক্তার হতে চায় কেন? উত্তরে ছাত্রীটি বলে, “বাবার চোখের সমস্যার কারণেই বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই।” একথা বলেই কেঁদে ফেলে সে। এর মধ্যেই আয়ুব জানান, সৌদি আরবে কাজ করতেন তিনি। সেই সময় চোখের ড্রপ নিতে হত তাঁকে। ওই ড্রপের বিষক্রিয়ায় তাঁর দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়।
[আরও পড়ুন: তিরিশ টুকরো করা হয়েছিল জামাইবাবুকে, বদলা নিতে তিরিশটি গুলিতে দুষ্কৃতীর দাদাকে খুন]
বাবার পরিস্থিতি ও মেয়েটির ডাক্তার হতে চাওয়ার কারণ এবং কথা বলার মাঝখানে কেঁদে ফেলার প্রতিক্রিয়ায় আবেগে গলা বুজে আসে প্রধানমন্ত্রীর। কিছুক্ষণের জন্য চুপ করে যান তিনি। এরপর মেয়েটির উদ্দেশে বলেন, “তোমার এই সংবেদনশীলতাই তোমার শক্তি।” পাশাপাশি ডাক্তারি পড়ার জন্য প্রয়োজনে তাঁকে সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বলেন, “সকলের স্বপ্নকে সার্থক করতে হবে তোমাকে।”
[আরও পড়ুন: প্রশাসনিক নীতি নির্ধারণে অভিজ্ঞতার সুফল, দেশের নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার]
এছাড়াও পরিবারটি এবার রমজান ও ইদ কীভাবে পালন করল তাও জানতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে আয়ুব প্যাটেল জানান, মোদি ক্ষমতায় আসার পরেই মেয়েরা পড়াশোনার জন্য সরকারি ভাতা পাচ্ছে।