সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র! বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। যা নিয়ে তৎপর সরকার। বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খালেদাপুত্রকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন হাসিনা। এর আগেও তিনি একাধিকবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তারেককে লন্ডন থেকে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর জনসভায় গুলি ও গ্রেনেড হামলা করা হয়। হাসিনা জখম হলেও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী মহিলা আওয়ামি লিগের সভাপতি আইভি রহমান-সহ ২৫ জন নিহত হন। ওই কাণ্ডে ৫২ জন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্র অনুযায়ী ৫২ জনের মধ্যে ৩ জনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। গত ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এই রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারে ৪৯ জন অভিযুক্তের সাজা হয়, যার মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৪ আসামিকে আটক করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাংসদ খুনের নেপথ্যে রাজনীতি? হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ২ আওয়ামি লিগ নেতা]
এই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডিত তারেক রহমান-সহ ১৫কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তাঁরা পলাতক রয়েছেন বলে সাংসদে জানান হাসিনা। তিনি বলেন, বিদেশে পলাতক অপরাধীদের মধ্যে মাওলানা তাজউদ্দিন, হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহম্মদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা আছে। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে এই তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে বিষয়টি তোলা হয়।
বলে রাখা ভালো, গত বছর ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার হয়েছিল কুখ্যাত ‘বোমা মৌলানা’ওরফে মুকিত হুসেন। পুলিশের জেরায় সে স্বীকার করেছিল, খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়ার নির্দেশেই কাজ করছিল সে। এই বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচন রুখে গোটা দেশে কার্যত ‘আগুন সন্ত্রাস’ চালিয়েছিল বিএনপি। পুলিশের জেরায় বোমা মৌলানা জানিয়েছিল, সে প্রায় ৪০০টি বোমা বানিয়েছিল। নাশকতা কিংবা আগুন দেওয়ার যে কোনও ছবি লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হলে তাদের পুরস্কৃত করা হত। তার পরই খালেদাপুত্রকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হাসিনা।