বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব নিজের কর্তৃত্ব জাহির করতে অনেকের মুণ্ডচ্ছেদ করেছিলেন। নির্বিচারে তিনি অত্যাচার করেছেন। লালকেল্লা (Red Fort) সেইসব ঘটনার সাক্ষী। কিন্তু এত কিছু করেও মানুষের বিশ্বাস তিনি টলাতে পারেননি। পূর্বতন সমস্ত প্রথা ভেঙে রাতে লালকেল্লা থেকে ঐতিহাসিক ভাষণে ‘আত্মনির্ভর ভারত’র পক্ষে সওয়াল করে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী সূর্যাস্তের পর লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিলেন। তবে, লালকেল্লার ফটক থেকে ভাষণ দেননি মোদি। এই প্রথম লালকেল্লার ফটকের বদলে অন্য কোনও জায়গা থেকে ভাষণ দিলেন দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে লালকেল্লায় বিশাল লঙ্গরেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এদিন লালকেল্লা থেকে বিশেষ স্মারক মুদ্রারও উদ্বোধন করেন মোদি।
[আরও পড়ুন: দেশের কোভিড গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছাড়পত্র পেল শিশুদের ভ্যাকসিন]
নবম শিখ গুরু তেগ বাহাদুরের (Guru Tegh Bahadur) ৪০০-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে লালকেল্লা থেকে রাতে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন মোদি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের আধিকারিকদের দাবি, লালকেল্লা থেকেই ১৬৭৫ সালে নবম শিখ গুরুকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। সেজন্য লালকেল্লায় অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখান থেকে দাঁড়িয়েই মোদি বলেন, ‘ঔরঙ্গজেবের অত্যাচারী চিন্তাধারার বিরুদ্ধে হিন্দ-দি-চাদর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গুরু তেগ বাহাদুর। পাথরের মত দাঁড়িয়েছিলেন। লালকেল্লা সাক্ষী থেকেছে যে ঔরঙ্গজেব একাধিক মুণ্ডচ্ছেদ করলেও আমাদের বিশ্বাসে আঘাত হানতে পারেননি।’
[আরও পড়ুন: বিয়ের দিন ঘোড়ায় চাপা যাবে না, নিদান উচ্চবর্ণের, বাধ্য হয়ে যা করলেন দলিত যুবক]
এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, ‘ভারত কখনওই কোনও দেশ বা সমাজের সামনে বিপদ হয়ে দাঁড়ায়নি । আজও আমরা বিশ্বের কল্যাণের বিষয়ে চিন্তা করি। আমি খুশি যে শিখ গুরুদের মতাদর্শের রাস্তায় এগিয়ে চলেছেন আমাদের দেশ। আজ এই বিশেষ অনুষ্ঠানে আমি সকল গুরুর পায়ে মাথা নত করছি।” মোদির আরও দাবি, “অনেক কিছু সয়ে নিয়েই বিশ্বের কল্যাণের জন্য কাজ করে চলে ভারত।” প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, ‘আমাদের এমন একটা ভারত তৈরি করতে হবে যে ভারত দক্ষতায় সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে গুরুদের আশীর্বাদ নিয়েই ভারত এগিয়ে যাবে।’