সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) করোনার ‘ভারতীয় প্রজাতি’কে ভয় পান। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের এই মন্তব্যে তুমুল বিতর্ক জাতীয় রাজনীতিতে। কমল নাথ বলছেন, “করোনা আগে ছিল চিনের, এখন হয়েছে ভারতের। আমাদের গর্বের দেশ এখন আর গর্বের নেই।” কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে বিজেপি। তাঁদের বক্তব্য করোনা এবং ভারত শব্দদুটিকে এক পংক্তিতে বসিয়ে দেশকে অপমান করছেন কমল নাথ।
করোনার ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ এই শব্দটিতে তুমুল আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্র। তাঁদের দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (CoronaVirus) করোনার কোনও প্রজাতির পাশে কোনও দেশের নাম উল্লেখ করে না। শনিবারই কেন্দ্রের তরফে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির কাছে নির্দেশ গিয়েছে, “সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের যে সমস্ত কনটেন্ট বা প্রতিবেদনে এই নয়া স্ট্রেনকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বা ডাকা হয়েছে বা উদ্ধৃত করা হয়েছে, সেগুলি অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়া হোক। ” অথচ সেদিনই কমল নাথ (Kamal Nath) করোনার B.1.617 স্ট্রেনকে ভারতীয় স্ট্রেন বলে উল্লেখ করে বসলেন। তিনি বলেন,”শুরুটা হয়েছিল চিনা করোনা দিয়ে, আজ এটা ভারতীয় করোনা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি করোনার ‘ভারতীয় প্রজাতি’কে ভয় পান। আমাদের বিজ্ঞানীরাও নতুন প্রজাতিকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ বলে উল্লেখ করছেন। শুধুমাত্র বিজেপি এবং তাঁদের উপদেষ্টারা সেসব মানতে নারাজ।”
[আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যুমিছিলের মধ্যেও ভাবমূর্তি রক্ষায় ব্যস্ত সরকার! মোদিকে পত্রবাণ প্রাক্তন আমলাদের]
‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ মন্তব্যের জন্য পালটা কমল নাথকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি বলছে,”বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট করে দিয়েছে কোনও ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে ভারতের নাম তাঁরা জোড়েনি। তা সত্ত্বেও ভারতীয় করোনা বলে আসলে দেশমাতৃকার অপমান করেছে কংগ্রেস। ওরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও দুর্বল করছে।”