সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তোলাবাজি, কাটমানি, সিন্ডিকেট, বেকারত্ব, হিংসা, আতঙ্ক, তুষ্টিকরণ, অন্যায়- আর নয় আর নয়। ব্রিগেডের সভা থেকে এভাবেই গর্জে উঠে বাংলায় ‘আসল’ পরিবর্তনের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সিংহনিনাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নমোর সাফ বার্তা, বাংলায় বদল আসবেই।
ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে খানিক মশকরা করেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে একহাত নিলেন মোদি। তাঁর মন্তব্যে ঘুরেফিরে বারবার উঠে এল কালোবাজারি, তোলাবাজি, তোষণের প্রসঙ্গ। ‘ভাইপো’কে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গও এড়ালেন না। মোদির তোপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু একজনেরই পিসি হয়ে রয়ে গেলেন, দিদি হতে পারলেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনি তো গোটা ভারতের মেয়ে। সারা বাংলা আপনাকে পাশে চেয়েছিল। কিন্তু আপনি একজনেরই পিসি হয়ে রয়ে গেলেন। রাজ্যবাসীর ভাল-মন্দের খেয়াল রাখলেন না। শুধু ভাইপোর চাহিদা পূরণ করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন কেন?” এরপরই মোদি জুড়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে কৃষক, শ্রমিক, কর্মচারী থেকে প্রতিটি পরিবাই তাঁর বন্ধু। কোনও একজনের জন্য নয়, বাংলায় প্রত্যেক বন্ধুর জন্য কাজ করতে চায় বিজেপি। কলকাতার ‘সিটি অফ ফিউচার’ হয়ে ওঠার সবরকম সম্ভাবনা রয়েছে। সেই পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রযুক্তি, পরিকাঠামো- সব ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আনা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলাকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে ভোট দিন’, ব্রিগেডে ‘আসল’ পরিবর্তনের ডাক মোদির]
তোলাবাজি, তোষণের পাশাপাশি ই-স্কুটার চালিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি মোদি। “দিদি, আপনি ই-স্কুটিতে চেপেছিলেন। সবাই আপনার মঙ্গল কামনা করছিল। কোনও চোট যেন আপনার না লাগে। তাহলে তো আবার যে রাজ্যে স্কুটিটি তৈরি হয়েছে, তাকেই শত্রু বানিয়ে বসতেন।” তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “এত রাগ কেন দিদি? কথায় কথায় গাল দেওয়া। দৈত্য, গুন্ডা, কী না বলেন। বাংলায় পদ্মফুল ফুটতে পারছে, কারণ আপনার তৃণমূলই সেই পাঁক তৈরি করে দিয়েছে।” এরপরই প্রশান্ত কিশোরের নাম না করে মোদির মন্তব্য, মমতার রিমোট কন্ট্রোল এখন অন্য কারও হাতে।
বাংলা যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিল, তা পূরণ হয়নি বলেই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে সুর চড়ান মোদি। তৃণমূল সরকার যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা করা হয়নি। কৃষক, শ্রমিক, কর্মচারীদের জীবনে কোনও বদল ঘটেনি। ঘোঁচেনি বেকারত্বের জ্বালা। সেই কারণেই একুশে পরিবর্তন চায় বাংলা। এদিনের জনজোয়ারে সে ইঙ্গিত স্পষ্ট বলেই দাবি করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।