সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হিংসা কবলিত মণিপুর। তবে এতদিনে একবারও সেখানে যাননি দেশের প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মাঝেই এবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন নরেন্দ্র মোদি। জানা যাচ্ছে, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে হিংসা থামাতে কেন্দ্র ও রাজ্য কোন পথে পা বাড়াবে তার রূপরেখা তৈরি করা হয় এই বৈঠকে।
আগামী শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক ছিল দিল্লিতে। সেই বৈঠকে যোগ দিতেই রাজধানী এসেছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের বৈঠকের পর বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকের ফাঁকেই বিরেন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি। সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এছাড়া আর কোনও আমলা বা সরকারি আধিকারিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা যাচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা মণিপুরের হিংসা পরিস্থিতির পাশাপাশি মূলত রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: ‘জম্মু সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি সিল করা হবে’, সন্ত্রাস রুখতে বড়সড় পরিকল্পনা কেন্দ্রের]
২০২৩ সালের ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসায় দগ্ধ মণিপুর। এর পর থেকে একাধিকবার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সেখানে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর পা পড়েনি এই রাজ্যে। বিজেপি শাসিত মণিপুরে ভয়াবহ হিংসার ফলও পেয়েছে গেরুয়া শিবির। লোকসভায় রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে তাদের। রাজ্যের দু'টি আসনেই জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, বিজেপি এই রাজ্যে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে ভোটের নিরিখে। যদিও এত কিছুর পরও মোদি বিরেনের উপরই আস্থা রাখছেন বলে খবর। মণিপুরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনাও হয় দুই নেতার। পাশাপাশি মণিপুরের পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক করার জন্যে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানায় নিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন সফরে যেতে পারেন এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সম্ভাব্য বিদেশ সফর ঘিরে তোপ দেগেছে হাত শিবির। কংগ্রেসের প্রশ্ন, মণিপুরের থেকেও ইউক্রেন কি বেশি গুরুত্বপূর্ণ? দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই দিনে দুটি বৈঠকে হাজির ছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। তাই মণিপুরের মানুষ জানতে চায়, মুখ্যমন্ত্রী কি রাজ্যের জ্বলন্ত সমস্যাগুলো নিয়ে একবারও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন? ইউক্রেন যাত্রার আগে বা পরে প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুরে যাওয়ার কথা বলেছেন?”