সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাস প্রসঙ্গে দ্বিচারিতা চলবে না-এসসিও বৈঠক থেকে পাকিস্তানকে সাফ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। নাম না করে প্রতিবেশী দেশকে বিঁধে মোদির মন্তব্য, সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়াটা বেশ কিছু রাষ্ট্রের নীতি রয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার থেকেই এসসিও বৈঠক শুরু হয়েছে ভারতে। সম্মেলনের প্রথম দিনেই কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারচুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন নানা দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
এসসিও (SCO) দেশগুলির নেতাদের বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। ভারচুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif), চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁদের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সুর চড়ান মোদি। সাফ জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসের নিন্দা করতে কোনও দেশেরই দ্বিমত থাকা উচিত নয়।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে এই স্পিনারকে দলে চাইছেন সৌরভ, কার কথা বলছেন দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক?]
ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বেশ কয়েকটি দেশ তাদের সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলাকে প্রশ্রয় দেয়। জঙ্গিদের নিজেদের দেশে আশ্রয় দেয়, কারণ সন্ত্রাসবাদই তাদের দেশের নীতি। নাশকতামূলক কার্যকলাপ যেভাবেই হোক না কেন, তার বিরোধিতা করতে হবে। আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক মহল-সমস্ত ক্ষেত্রেই সাংঘাতিক বিপজ্জনক হয়ে উঠছে সন্ত্রাসবাদের সমস্যা। এসসিও দেশগুলিকে একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জঙ্গি হামলার নিন্দা করার ক্ষেত্রে কোনও দ্বিচারিতা করা চলবে না।”
বিশেষজ্ঞগদের মতে, পাকিস্তান ও চিনের রাষ্ট্রপ্রধানদের উপস্থিতিতে মোদির এই মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার ভারতের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে নাশকতা চালানোর চেষ্টা করেছে পাক সন্ত্রাসবাদীরা। অন্যদিকে, কয়েকদিন আগেই জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি আবদুল রাউফ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করতে চেয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। কিন্তু সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে চিন। আগেও একাধিকবার জঙ্গি নেতাদের নিষিদ্ধ করতে চেয়ে ভারতের প্রস্তাব নাকচ করেছে চিন। সবমিলিয়ে, এসসিও সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই দুই দেশকে সাফ বার্তা দিলেন মোদি।