shono
Advertisement

‘সেবাই মূল মন্ত্র’, জাতীয় কর্মসমিতিতে জনসংযোগের বার্তা, বাংলার নাম উল্লেখই করলেন না মোদি

৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে রণকৌশল স্থির করেছে বিজেপি।
Posted: 07:07 PM Nov 07, 2021Updated: 07:07 PM Nov 07, 2021

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: করোনা আবহ পেরিয়ে প্রায় ২ বছর পর জাতীয় কর্মসমিতির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে ফেলল বিজেপি (BJP) কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিল্লির NDMC কনভেনশন সেন্টারে রবিবার বিকেলে শেষ হল বৈঠক। সমাপ্তি ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দীর্ঘ প্রায় ৫০ মিনিটের ভাষণে আগামী দিনে দলকে( পথনির্দেশিকা দিলেন তিনি। সেবাই মূল মন্ত্র, মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছতে হবে – এসব নীতির বাস্তবায়নে আরও জোর দেওয়ার বার্তা দিলেন দলের সদস্যদের। কিন্তু উল্লেখযোগ্য, গোটা বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে বাংলা থাকলেও, শেষবেলায় বাংলার কথা একটিবারও উচ্চারিত হল না মোদির বক্তব্যে।

Advertisement

২০২২ সালে দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections)। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। এছাড়া ভোট হবে গোয়া, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাবে। সেই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী রণকৌশল প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে এই বৈঠকে। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে এ বছরের মধ্যেই দেশের ১০০ কোটির মানুষকে করোনা টিকাকরণের (Corona vaccination) লক্ষ্যমাত্রা সম্পূর্ণ হয়েছে। ৫ রাজ্যের প্রচারে এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করতে চায় বিজেপি।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে ‘রেকর্ড ভোট’ পেয়েই খুশি BJP কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব! জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ‘সন্ত্রাস’ অস্ত্রেই সায়]

এদিন বৈঠকের মাঝে সাংবাদিক সম্মেলনে দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) বলেন, ”করোনা প্রতিরোধে ভারতের টিকাকরণ গোটা বিশ্বে সমাদৃত। অথচ বিরোধীরা প্রশংসার বদলে একে হেয় করে দেখছেন, এ নিয়ে নানা অপপ্রচার করছেন। যে মোটেই কাম্য নয়। আমরা সঠিক তথ্য তুলে ধরে মানুষের কাছে প্রচার করব।” পাঞ্জাবের ভোটকে সামনে রেখে কৃষক আন্দোলন সামলাতে তিন নয়া কৃষি আইন নিয়ে জোরদার প্রচারে ঝাঁপাতে চায় কেন্দ্রের শাসনাধীন দল। এছাড়া CAA চালু, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়েও প্রচার চলবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে।

[আরও পড়ুন: গুজরাটের জলসীমায় পাক নৌসেনার গুলিতে মৃত্যু ভারতীয় মৎস্যজীবীর, অপহৃত ৬]

জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের শেষদিন উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমাপ্তি ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। প্রায় ৫০ মিনিট ধরে বক্তব্য পেশ করেন তিনি। করোনাকালে কীভাবে দেশের সেবায় সরকার নিজেকে যুক্ত করেছে, তা উল্লেখ করেন মোদি। তাঁর বার্তা, এই পথেই এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ মিনিটের ভাষণে কোথাও বাংলার পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক পরিস্থিতি, যেখানে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে রাজনৈতিক হিংসা ইস্যুকেই হাতিয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন তাবড় বিজেপি নেতারা, সেখানে স্বয়ং মোদি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করেই খানিকটা হতাশ বাংলার বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ভোকাল টনিক পাওয়ার আশায় ছিলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement