সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত পোহালেই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh Election) প্রথম দফার নির্বাচন। তার আগে পাঁচ রাজ্যের ভোট নিয়ে বড়সড় দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলে দিলেন, শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, পাঁচ রাজ্যেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি। মানুষ আবার আমাদের আমাদের সুযোগ দেবে।
সংবাদসংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এদিন দাবি করেছেন,”৫ রাজ্যেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি। রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির (BJP) ঢেউ চলছে। আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছি। মানুষ আবার আমাদের সেবার সুযোগ দেবেন। সবাই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কথা বলে। আমরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে হাওয়া তৈরি করেছি।” মোদির (Narendra Modi) বক্তব্য, “আমরা সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস নীতিতে চলি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে বিজেপি। ভোট হোক বা না হোক, ক্ষমতায় থাকি বা না থাকি। বিজেপি সবসময় মানুষের সেবায় ব্রতী থাকে। আগে মানুষ কাজ দেখতে পেতেন না, শুধু ঘোষণা শুনতেন। আগের সরকার ফাইলের ছিল। এখনকার সরকার কাজের।”
[আরও পড়ুন: দলে ভারী হচ্ছে বিদ্রোহীরা! উত্তরাখণ্ডে লকেট-শান্তনুর প্রচার ঘিরে নয়া অস্বস্তি বঙ্গ বিজেপিতে]
বস্তুত, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুর। পাঁচ রাজ্যেই এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি গেরুয়া শিবির। বিশেষত পাঞ্জাবে (Punjab) বিজেপি সেভাবে লড়াইয়েই নেই। উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand), উত্তরপ্রদেশেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে গেরুয়া শিবির। গোয়া এবং মণিপুরে অবশ্য বিরোধী শিবির খানিকটা বিভক্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। এত কঠিন লড়াইয়ের আগে খোদ প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন, সব রাজ্যে বিজেপি জিতবে। মোদির এ হেন দাবি যে বিজেপি কর্মীদের চাঙ্গা করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: ‘মোদির শাসনে গৃহযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে দেশ’, উত্তরপ্রদেশে অখিলেশকে সমর্থন লালুর]
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের প্রথম দফার প্রচারের সময়সীমা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। অথচ, এদিনের সাক্ষাৎকারে মোদি উত্তরপ্রদেশ নিয়েই বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আগে উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারাজ চলত। মাফিয়ারাজ চলত। যোগীর (Yogi Adityanath) দৌলতে অপরাধমুক্ত হয়েছে উত্তরপ্রদেশ। একটা সময় গুন্ডারা উত্তরপ্রদেশে যা খুশি করতে পারত। মহিলারা সুরক্ষিত ছিল না। বাড়ি থেকে বেরোতে পারত না। কিন্তু এখন উত্তরপ্রদেশে মহিলারা নিরাপদ বোধ করেন। অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন যোগীজি।” যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রধানমন্ত্রীর এই যাবতীয় দাবি এবং বক্তব্য সবটাই কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা। এমনিতে পাঁচ রাজ্যেই যে বিজেপি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে সেটা তিনিও ভাল করেই জানেন।