ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়: রবিবারই হলদিয়ায় এসে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্প চালু না করা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর অভিযোগ, শুধুমাত্র তৃণমূল সরকারের রাজনৈতিক দূরভিসন্ধির জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’, ‘আয়ুষ্মান ভারতে’র মতো জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যবাসী পাননি। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় মোদির সেই কটাক্ষের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বলে দিলেন, রাজ্যের কৃষকদের নিয়ে মিথ্যাচার করছেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের আগে হঠাৎ বাংলার কথা মনে পড়েছে কেন্দ্রের।
রবিবার হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন,”দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক কিষাণ সম্মান নিধি (PM Kishan) যোজনার আওতায় হাজার হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন। এর মধ্যে বাংলারও লক্ষ লক্ষ কৃষক থাকতে পারতেন। কিন্তু এখানকার একজন কৃষকও এই সুবিধা পাননি। কারণ, এখানকার সরকার এই যোজনায় যুক্তও হয়নি। বাংলার মানুষ ওদের সরিয়ে দেবে এটা বুঝতে পেরেই ক’দিন আগে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কেন্দ্রকে সম্মতি দিয়ে চিঠি লিখেছে। কিন্তু এঁরা চায় না সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা যাক। ইতিমধ্যেই বাংলার ২২ লক্ষ কৃষক রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৬ হাজার কৃষকের নাম এঁরা জমা দিয়েছে। সেই ৬ হাজার কৃষকের ব্যাংক ডিটেল কেন্দ্রকে এখনও দেয়নি রাজ্য সরকার।”
[আরও পড়ুন: পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা পরিচয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ, আর্থিক প্রতারণার চেষ্টা! শুরু তদন্ত]
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে মিথ্যা বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য,”নরেন্দ্র মোদি বলছেন, আমরা কৃষকদের তালিকা দিচ্ছি না। ওঁরা যে ৬ হাজার টাকা দেয়, সে তো একরে। আমরা এক কাঠা থাকলেও দিই। আমরা চেয়েছিলাম সার্ভে হোক। বারবার কেন্দ্রকে বলছি তথ্য দাও। এতদিন পর তথ্য দিল। তাও আবার ওদের পোর্টালে দিয়েছে। বলছে ২২ লক্ষ রেজিষ্টার করেছে। আমাদের এখন বলছে ভেরিফাই করে দিতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৬ লক্ষের তথ্য দিয়েছে। আমরা তার মধ্যে আড়াই লক্ষ করে দিয়েছি। দাও তোমরা টাকা।” মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “আমি চাই ভাগচাষী ক্ষেতমজদুরদেরও দেওয়া হোক টাকা।” মমতার কথায়, এই সরকার আসলে বাংলার কৃষকদের কথা ভাবেই না। এত নির্দয় কেন্দ্রের সরকার দেখিনি। রাজ্যের প্রাপ্য কিছুই দিচ্ছে না। এখন বাংলায় নির্বাচন বলে বাংলা ওদের টার্গেট। ভোটের সময় বাংলা প্রীতি হয়েছে। বিবেকানন্দকে ঠাকুর বানিয়েছে। শুনলাম নাকি যোগী- ভোগীও আসছে।”