সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাট সুখবর শোনাল কেন্দ্র। জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের দাবি অনুযায়ী, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। যা সাম্প্রতিক অতীতে সর্বাধিক। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে জিডিপি বৃদ্ধির (GDP Forecast) এই হার প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশাল মিডিয়ায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীর পোস্ট,”দেশের জিডিপি বৃদ্ধির এই বিরাট হার দেশের অর্থনীতির শক্তি এবং সম্ভাবনার প্রমাণ। দেশের ১৪০ কোটি মানুষ যাতে আরও ভালো জীবনযাপন করতে পারেন, এবং একটি বিকশিত ভারত যাতে তৈরি করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা আরও দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি করার চেষ্টা করব।” আসলে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে তুলে ধরতে চায়। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গেলে এই হারেই বৃদ্ধির প্রয়োজন।
[আরও পড়ুন: হিমাচলে ‘ব্যর্থতা’ মানলেন মুখ্যমন্ত্রী, ‘কংগ্রেস সরকার সুরক্ষিত’, দাবি শিবকুমারের]
২০২২ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পর এটাই ভারতের সর্বোচ্চ বৃদ্ধির হার। ২০২২ সালে করোনা পরবর্তী সময়ে এমনিই দ্রুতহারে বাড়ছিল গোটা বিশ্ব অর্থনীতি। সে তুলনায় এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বেই স্থিতাবস্থা চলছে। অথচ, সেই স্থিতাবস্থার মধ্যেই ভারত বিরাট উন্নতি করল। যা উচ্ছ্বাস বাড়াচ্ছে সরকারের। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর এই বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের কম ছিল। তার থেকে এ বার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এই ধারা বজায় থাকলে চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৬ শতাংশকে ছাপিয়ে যাবে বলে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত। জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর প্রাথমিক ভাবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ৬.৬ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: এখনও রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে আটকে বহু ভারতীয় ‘শ্রমিক’, তথ্য জানাল কেন্দ্র]
জিডিপি বৃদ্ধির এই হার লোকসভা ভোটের আগে মোদি সরকারের জন্য বিরাট স্বস্তির খবর। কারণ নির্বাচনে (Lok Sabha 2024) অর্থনীতির বেহাল দশাকে হাতিয়ার করেই প্রচারের ছক কষেছে অধিকাংশ বিরোধী দল। বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতির মতো ইস্যুকে হাতিয়ার করার পরিকল্পনা রয়েছে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের। সেই ছক ভেস্তে দিতে এই পরিসংখ্যান হাতিয়ার হতে পারে কেন্দ্রের। যদিও বিরোধীরা মোদি জমানার এই জিডিপির পরিসংখ্যানকে বরাবর সন্দেহের চোখে দেখে।