সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিল্প, সাহিত্য, গণিতচর্চা থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞান। বিশ্বের প্রাচীনতম দুই সভ্যতা- ভারত ও গ্রিসের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস অপূর্ব মণিমাণিক্যে ভরা। শুক্রবার এথেন্সে সেই কথাই মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অতীতের সুতোয় দুই দেশের বর্তমান বাঁধা পড়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই সেই সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিসের আমন্ত্রণে এই সফর মোদির। এদিন মিৎসোতাকিসের সঙ্গে যৌথভাষণে মোদি বলেন, “বিশ্বের দুই প্রাচীনতম সভ্যতা হচ্ছে ভারত ও গ্রিস। শিল্প, সাহিত্য, বাণিজ্য ও গণতান্ত্রিক মতাদর্শের সহজাত সামঞ্জস্য রয়েছে দুই দেশের মধ্যে। আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত প্রাচীন ও মজবুত।” তিনি আরও বলেন, “প্রায় চল্লিশ বছর পর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে পা রেখেছেন, কিন্তু সম্পর্কের উষ্ণতা বিন্দুমাত্র কমেনি। আমরা কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সন্ত্রাসবাদ ও সাইবার ক্রাইম নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি কূটনীতি ও আলোচনার মাধ্যমেই ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধান হোক।”
আজ সকালেই এথেন্স পৌঁছন মোদি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে আয়োজিত ব্রিকস সামিট থেকে ফেরার পথেই এখানে এসেছেন তিনি। তাঁর এই সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে পৌঁছলে তাঁকে স্বাগত জানাতে গ্রিসের ভারতীয় সম্প্রদায়ের একাংশ উপস্থিত হন সেখানে। পরে এথেন্সের হোটেল গ্রেনেড ব্রেটাগনে-তে পৌঁছনোর ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মোদিকে। ভিড়ের মধ্যে ছিল শিশুরাও। তাদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী। একবার তাঁর সঙ্গে করমর্দন করতে বহু মানুষ একসঙ্গে হাত বাড়িয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে সম্মান করতে শিখুন’, ব্রিকসের মঞ্চে জিনপিংকে বার্তা মোদির]
সূচি মোতাবেক, এদিন এথেন্স বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানান গ্রিক বিদেশমন্ত্রী জর্জ জেরাপেট্রাইটিস। সেখানে প্রাচীন শহরে অবস্থিত ‘টম্ব অফ আননোন সোলজার’ বা অজ্ঞাত পরিচয় সেনাদের সমাধিতে সম্মান জানান তিনি। বিভিন্ন যুদ্ধে নিহত গ্রিক সেনাদের সম্মানে এথেন্সের সিন্তাগমা স্ক্যোয়ারে রয়েছে এই সমাধিসৌধ। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অফ অনার’ সম্মানে ভূষিত করেন গ্রিসের প্রেসিডেন্ট ক্যাটেরিনা সাকেলারোপউলউ।