সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার পিটিশন দায়ের-সহ নানা কারণে উত্তাল বাংলাদেশ। চিন্ময়ের গ্রেপ্তারির নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে ভারতও। প্রতিবেশী দেশের এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিশেষ বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সংসদে বৈঠকে বসেন তিনি।
হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিতে জ্বলছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম-সহ দেশের একাধিক প্রান্তে পথে নেমেছে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। স্বাভাবিক ভাবেই পড়শি দেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, “চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি এবং জামিন না পাওয়ার ঘটনা আমরা যথেষ্ট উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি। ইনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ মঞ্চের প্রধান মুখ। আমরা বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাচ্ছি বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু ও অন্যান্য সকল বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।"
এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সংসদে বৈঠকে বসেন মোদি ও জয়শংকর। আগামী সপ্তাহে হয়তো বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হতে পারে সংসদে। সরকারের তরফে বিবৃতিও দেওয়া হতে পারে। বিরোধী সূত্রের খবর, আলোচনা হলে কোনও আপত্তি থাকবে না, তবে তুলে ধরা হতে পারে আজকের কার্যবিবরণীতে অধ্যক্ষ ওম বিড়লার উক্তি। সংসদে আদানি ইস্যুতে যখন সরব বিরোধীরা তখন তিনি বলেন, "যে বিষয়ের সঙ্গে দেশের কোনও সম্পর্ক নেই, তা নিয়ে কীভাবে আলোচনা হতে পারে?"
উল্লেখ্য, বদলের বাংলাদেশে এখন তীব্র অরাজক পরিস্থিতি। হাসিনা বিদায়ের পর থেকেই সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা নানাভাবে কোণঠাসা হয়েছিলেন। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় তাদের উপর নির্যাতন মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছে। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলে সনাতন হিন্দু সন্ন্যাসীদের উপর জারি হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস তথা চিন্ময় প্রভুর পর চট্টগ্রাম থেকে সনাতন ধর্মের আরেক সন্ন্যাসী স্বরূপ দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দায়ের হয়েছে মামলাও। যদিও সেই আবেদন খারিজ করেছে আদালত।