সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৭৮ সালে শুরু হয়েছিল প্রকল্পের কাজ। তার পর সরযূ নদী দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গিয়েছে। পাঁচ বছর অন্তর হাত বদল হয়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ক্ষমতারও। কিন্তু প্রকল্পের কাজ আর শেষ হয়নি। তবে কথায় আছে ভোট বড় বালাই। আর উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাই কৃষকদের মন জিততে তড়িঘড়ি সরযূ সেচখাল প্রকল্পের কাজ শেষ করত তারা। শনিবার সেই ৯ হাজার ৮০০ কোটির প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে পাশে বসিয়ে বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ-ও দাগলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রকল্প উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে মোদি বলেন, “কয়েক দশক আগে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল। কিন্তু কাজ আর এগোয়নি। ওঁরা (বিরোধী) শুধু শিলান্যাসই করতে পারতেন। কাজ শেষ করলাম আমরা, ডবল ইঞ্জিনের সরকার। সঠিক সময় মানুষের কাছে প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিলাম।” প্রসঙ্গত, সরযূ সেচ প্রকল্প (Saryu Canal National Project for irrigation) তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ঘর্ঘরা, সরযূ, রাপ্তি, বানগঙ্গা এবং রোহিনী, এই পাঁচটি নদীকে যোগ করবে এই প্রকল্প। সেচের জল পৌঁছে যাবে ১৪ লক্ষ হেক্টর জমিকে। যার সুবিধা পাবেন ২৯ লক্ষ কৃষক।
[আরও পড়ুন: KMC Election: প্রতি ওয়ার্ডে মহিলাদের জন্য শৌচালয়, নিকাশিতে জোর, পুরভোটে তৃণমূলের ইস্তেহারে ১০ ঘোষণা]
এই প্রকল্পের উদ্বোধনের আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। টুইটারে লেখেন, “সমাজবাদী পার্টির আমলে এই প্রকল্পের কাজ ৭৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছিল। বাকিটা শেষ করতে পাঁচ বছর সময় লাগিয়ে দিল বিজেপি।” উদ্বোধনের মঞ্চে তাঁকে পালটা আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রীও। বলেন, “দিল্লি থেকে রওনা দেওয়ার সময় থেকে ভাবছিলাম, কখন কেউ এসে বলবেন, তাদের আমলে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছিল। আসলে ওঁরা শুধু স্বপ্ন দেখেন, আর আমরা তা বাস্তবায়িত করি।”
সরকারি সূত্রে খবর, ১৯৭৮ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার পর আর্থিক সমস্যার জেরে কাজে গতি আসেনি। একটা সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই প্রকল্পের কাজ। শেষে ২০১৬ সালে প্রকল্পটিকে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সেচ যোজনার অধীনে আনা হয়। দ্রুততার সঙ্গে শেষ করা হয় কাজ। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের গদি ধরে রাখতে কৃষকদের মন জয় করা দরকার। আর সেই কাজ করতেই তড়িঘড়ি এই প্রকল্প শেষ করে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।