সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩ জুলাই শুরু হতে চলা এসসিও সম্মেলনে যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে ওই সম্মেলন। মোদির পরিবর্তনে কাজাখস্তানে হতে চলা সম্মেলনে ভারতের তরফে যোগ দেবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, যেহেতু ওই সময় সংসদের অধিবেশন চলবে তাই মোদি যোগ দেবেন না এসসিও সম্মেলনে। কিন্তু সংসদের অধিবেশন চলাকালীন অতীতে মোদি বিদেশ সফরে গিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, মোদির কাজাখস্তান না যাওয়ার অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা।
মনে করা হচ্ছে, বৈঠকে চিনের (China) উপস্থিতিই একটা বড় কারণ। আসলে সম্প্রতি মার্কিন প্রতিনিধি দল দলাই লামার সঙ্গে দেখা করে চিনবিরোধী বিবৃতি দেয় ধরমশালা থেকেই। পরে মোদির সঙ্গে সেই দলের বৈঠকও হয়। এই পরিস্থিতিতে বেজিং যে প্রবল চটেছে তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি ইটালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির আমন্ত্রণে মোদির জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে চিনবিরোধী বৃহৎ শক্তির সঙ্গে বৈঠকও চিনকে রুষ্ট করেছে। এহেন পরিস্থিতিতে এসসিও সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতি চিনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়ানোর কূটনৈতিক কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে মোদি না গেলেও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর যোগ দিচ্ছেন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে।
[আরও পড়ুন: মার্কিন আদালতে ‘দোষী’ হতে রাজি, শর্ত মেনে ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ]
প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও চিনের উদ্যোগে ২০০১ সালে ইউরেশীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করতে গঠিত হয় এসসিও। কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত, পাকিস্তানও যার সদস্য হয়েছে একে একে। এবছর যেন অন্তর্ভুক্ত হবে ইরান ও বেলারুশ।
২০১৭ সালে কাজাখস্তানেই বসেছিল এসসিও সম্মেলনের (SCO summit) আসর। সেবার কিন্তু মোদি গিয়েছিলেন সেখানে। সেবারই পূর্ণ সদস্য হিসেবে প্রথমবার ওই সম্মেলনে যায় ভারত। কিন্তু গত কয়েক বছরেই এই সম্মেলনে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। যার কেন্দ্রে অবশ্য রয়েছে পাকিস্তান। তবে গত বছর এসসিও-র সভাপতিত্ব করেছিল ভারত। এর আগে সমরখন্দের সম্মেলনে অবশ্য যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi)।