সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিনজো আবের শেষকৃত্যে যোগ দিতে জাপান পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রাতে দিল্লি থেকে টোকিওর উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সেখানে পূর্বনির্ধারিত সূচী মোতাবেক আজ মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোদি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, রাজধানী টোকিওয় মোদিকে স্বাগত জানান কিশিদা। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে উষ্ণ করমর্দন হয়। এর পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করে বৈঠকে বসেন তাঁরা। আলোচনা চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আজ শোকের আবহে আমাদের এই সাক্ষাৎ হচ্ছে। শেষবার যখন আমি এখানে (জাপান) এসেছিলাম তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে অনেক কথা হয়। ভারত আবেকে ভুলতে পারছে না।”
[আরও পড়ুন: হিজাব বিক্ষোভ দমনে ইরানের রাস্তায় রাইফেল হাতে মহিলা ‘হিজাব বাহিনী’]
বলে রাখা ভাল, কৌশলগত দিক থেকে আবে অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন বলেই মত বিশ্লেষকদের। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে নিয়ে ‘কোয়াড’ বা চতুর্দেশীয় অক্ষ তৈরির পরিকল্পনা ছিল আবের মস্তিস্কপ্রসূত। এহেন একাধিক কারণে আবের সঙ্গে মোদির বন্ধুত্ব ছিল অত্যন্ত মজবুত। তবে আবে পরবর্তী সময়েও যে জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায় ভারত সেই বার্তাই এদিন দিয়েছেন নমো। কিশিদাকে তিনি বলেন, “আপনার নেতৃত্বে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আপনার নেতৃত্বে ভারত ও জাপান বিশ্বের জটিল সমস্যাগুলি সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।” জানা গিয়েছে, কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের পর টোকিওয় আবের শেষকৃত্যে যোগ দেবেন মোদি।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে পশ্চিম জাপানের নারা শহরে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় আচমকাই আবের (Shinzo Abe) উপরে গুলি চালায় এক আততায়ী। মঞ্চের উপরেই লুটিয়ে পড়তে দেখা যায় আবেকে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হয় জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। ‘প্রিয় বন্ধু’র মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আবের মৃত্যুতে জাতীয় শোক ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার।