সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইটালি গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার সেদেশের এগজানিয়া শহরে পা রাখেন তিনি। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন তাবড় রাষ্ট্রনেতারাও। সেখানেই আজ, শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন মোদি। পাশাপাশি তিনি সাক্ষাৎ করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গেও। এছাড়াও নমো দেখা করেন পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে।
তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর এটাই মোদির প্রথম বিদেশ সফর। ইটালির প্রধানমন্ত্রীর জর্জিয়া মেলোনির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসাবে ৫০তম জি-৭ সামিটে যোগ দিয়েছেন নমো। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই সম্মেলনের ফাঁকেই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন মোদি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। আগামিদিনে দিল্লির সঙ্গে কিয়েভের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এদিন যুদ্ধ আবহে ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে কথা হয় জেলেনস্কি ও মোদির মধ্যে।
[আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপে আমেরিকার কাছে পাকিস্তানের হার, প্রশ্ন শুনে কী বললেন শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক?]
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সুসম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। মোদির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গভীর বন্ধুত্বের কথাও তিনি জানেন। তাই রাশিয়াকে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিক ভারত, এটাই চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, যুদ্ধ আবহে পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন মোদি। দুজনকেই বৈঠক ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, এদিন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গেও কথা বলেন মোদি। সম্মেলনের ফাঁকে বেশ খোশ মেজাজে ধরা দেন তাঁরা। দুই রাষ্ট্রনেতার এই সাক্ষাতের পর বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, 'ইটালিতে অনুষ্ঠিত জি-৭ সামিটে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁদের এই সাক্ষাৎ দুদেশের কৌশলগত সহযোগিতাকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যাবে। আগামিদিনে প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, শিক্ষা, প্রযুক্তি-সহ নানা ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করা লক্ষ্যে তাঁরা আলোচনা করেছেন। এছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়েও মত বিনিময় করেছেন।'
এই সম্মেলনের অন্যতম সদস্য দেশ হিসাবে উপস্থিত রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এদিন তাঁর সঙ্গেও বৈঠক করতে দেখা যায় মোদিকে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। পাশাপাশি আগামিদিনে ভারতের ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করতেও কথা বলেন দুজনে। এছাড়াও অন্যান্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন মোদি।